ত্রিপুরায় তিন মহিলা আগুনে পোড়ার ঘটনা সামনে এসেছে, দুইজন মারা গেছেন, একজন আশঙ্কাজনক। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ। দুই ঘটনা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায়, একটি পাশের সিপাহিজলা জেলায়।
গতকাল মীনাক্ষী সরকার আগুনে মারা গেছেন, বাড়ি পশ্চিম ত্রিপুরার কালকলিয়ায়। মীনাক্ষী’র পোড়া দেহ ঘরেই পাওয়া গেছে। তার বাবার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী সুজিত সরকার তার গায়ে আগুন দিয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে স্বামীকে। পশ্চিম ত্রিপুরার শানমুড়া এলাকার ঝুমা দাসের বিয়ে হয়েছিল প্রায় সাত বছর আগে খয়েরপুর এলাকার অভিজিত দাসের সাথে। এক সন্তান রয়েছে। অভিযোগ প্রায়শই স্বামী নির্যাতন করতেন স্ত্রীকে। ১২ নভেম্বরও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। পঅপমান সহ্য করতে না পেরে নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন ঝুমা। জিবিপি হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর গতকাল রাতে মারা যান ঝুমা দাস।
তৃতসিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ের গকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকায় স্বামী রিপন সরকারের বিরুদ্ধে স্ত্রী রূপা নট্টের গায়ে আগুন দেয়ার অভিযোগ। ঘটনা সকালের। মেয়েটির বাবার বাড়ি রিপন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশে। রিপন সরকার পালিয়ে গেছেন।রূপা হাসপাতালে আছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছেন।