ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদী কাজ কি আবার নাড়াচাড়া দিচ্ছে! সন্দেহ একটু একটু করে বাড়ছেই। খোয়াই, ধলাই, উত্তর, ইত্যাদি বেশ কয়েকটি জেলায় নিষিদ্ধ এনএলএফটি’র নামে টাকা চেয়ে চিঠি দেয়া হচ্ছে। খোয়াই জেলায় কয়েকমাস আগে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। দক্ষিণ জেলার রৈস্যাবাড়ি থানা এলাকায়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই জন। দক্ষিণ জেলারই অমরপুরে গ্রেফতার হয়েছেন একজন এই সপ্তাহে। রৈস্যাবাড়ি থানার এলাকায় রেসন ডিলাদের কাছে টাকার দাবি এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে ফোন করা হচ্ছে, ম্যাসেজ পাঠানো হচ্ছে টাকা চেয়ে। ( দ্য প্লুরাল কলাম এই খবর করেছে। দ্য প্লুরাল কলাম এই খবরও করেছিল, এনএলএফটিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা হচ্ছে।কোভিড লকডাউনের পর উত্তরপূর্বাঞ্চলেই যুবকেরা সন্ত্রাসবাদী দলের দিকে ঝুঁকছেন।)
অমরপুরের ডালাক, জমাতিয়া কলোনিক্স চেলাগাং মুখ, ইত্যাদি জায়গায় আদিবাসী সমাজের ‘চৌধুরী’ বলে পরিচিতদের কাছে মোটা টাকা দাবি করেছে সন্ত্রাসবাদীরা।
অমরপুরের মহকুমা পুলিশ আদিকারিক রমেশ যাদব বলেছেন, টাকা চেয়ে নোটিশ দেয়ার জন্য ১ নভেম্বরে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নোটিশ পৌঁছে দিয়েছেন, এমন একজন এনএলএফটি সহযোগীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশাবাদী, বৈরী সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশ অন্য সহযোগীদের নামধাম জানতে পারবে। যারা সরকারি কাজ করেন, তাদের বছরের আয়ের ৫ শতাংশ দিতে হবে। ঠিকেদারদের দিতে হবে আয়ের ২০ শতাংশ টাকা। তাছাড়া গাড়ি, বাইক, অন্য কোন যান বাহন, বাড়ি এসবের জন্য আলদা ‘ট্যাক্স’ । সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যাঙ্ক, ইন্সুরেন্স অফিস থেকেও টাকা তুলে দিতে বলা হয়েছে চৌধুরীদের।
ত্রিপুরায় উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন কোভিডের কারণে মুলতুবি করে রাখা হয়েছে। ১৭ মে নির্বাচিত পরিচালন সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসবাদী কাজ ত্রিপুরায় বছর দশেক ধরে নেই। সন্ত্রাসবাদের ফলে, বিশেষত গ্রাম-পাহাড়ে উন্নয়ন আটকে পড়েছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিসেবা অনেক জায়গাতেই ভেঙে পড়েছিল। সন্ত্রাসবাদী কাজ দমিয়ে আনার জন্য ত্রিপুরা পুলিশ ‘প্রেসিডেন্টস কালার্স’ সম্মানও পেয়েছে।