ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়নি, যদিও মেয়াদ পেরিয়েছে বহু আগেই। করোনা’র কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে, যে পরিষদ ছিল, তাকে দায়িত্ব না দিয়ে প্রশাসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় তার মেয়াদও বেড়েছে।
নগর সরকারগুলির মেয়াদও ফুরিয়ে আসছে। সেগুলির নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলিকে পুনর্বিন্যাস করছে সরকার। নগর উন্নয়ন দফতর নগর সরকার এলাকাগুলির ডিলিমিটেসন করার জন্য সার্কুলার জারি করেছে। আগরতলায় মিউনিসিপাল কর্পোরেসন, বাকীগুলি মিউনিসিপাল কাউন্সিল, বা নগর পঞ্চায়েত, সেরকম কুড়িটি। ২৫ নভেম্বেরের মধ্যে খসড়া ডিলিমিটিসন খাড়া করতে হবে, ২৬ নভেম্বর প্রকাশহবে। ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই খসড়ায় উপর দাবি- আপত্তি জানাতে পারবনে সাধারণ মানুষ। সমস্ত দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ৮ ডিসেম্বরে। ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত বিন্যাস। ২০১৫ সালের পুর এবং নগর নির্বাচনের আগে একবার ত্রিপুরার সমস্ত নগর এলাকার সীমানা বিন্যাস বা ডিলিমিটিসন হয়েছিল। পাঁচ বছর পর আবারও হচ্ছে। সেবার আগরতলা পুর এলাকার সীমানা বাড়ানো হয়। পুর এলাকার আশপাশের বিভিন্ন পাঞ্চায়েতের অংশ পুর এলাকায় যুক্ত হয়। তখন সরকারের বামফ্রন্ট। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, পঞ্চায়েতে নাগরিক সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারিত না করে, শুধু ভোটের দিকে তাকিয়ে নতুন এলাকা ঢোকানো হচ্ছে পুর এলাকাগুলিতে। আগরতলা পুর পরিষদ ২০১৪ সালে পুর নিগমে রূপান্তরিত হয়েছে। আগরতলা পুর নিগম ছাড়াও রয়েছে ত্রিপুরার তেরটি পুর পরিষদ। ধর্মনগর, কৈলাসহর, কুমারঘাট, আমবাসা, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া, রানীরবাজার, মোহনপুর, বিশালগড়, মেলাঘর, উদয়পুর, শান্তিরবাজার, এবং বিলোনীয়া পুর পরিষদ। রয়েছে ছয়টি নগর পঞ্চায়েত। পানিসাগর, কমলপুর, জিরানীয়া, সোনামুড়া, অমরপুর এবং সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত।