ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণ কান্তি ভৌমিক মারা গেছেন সকালে। কলকাতার একটি নার্সিং হোমে গতকাল তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
ভর্তি ছিলেন আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন, গতকালই তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
আইনের পেশায় বহুদিন ধরে যুক্ত ছিলেন। রাজনীতি করতেন। ১৯৯৩ সালে জনতা দলের হয়ে বামফ্রন্টের সমর্থনে বিধায়ক হন আগরতলার বড়জলা থেকে। মন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, তবে বামফ্রন্টের অংশ জনতা দল নয় বলে সেই সুবিধা হয়নি। বামফ্রন্টের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়, প্রকাশ্যেই বিরোধিতা শুরু করেন বিধায়ক থাকা সময়েই। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। কমলাসাগর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে চাইতেন, বেশ কয়েকবার টিকিট পাননি। বিজেপিতে যোগ দেন, কমলাসাগরেই টিকিট পান, তবে জিততে পারেননি।
অরুণ কান্তি ভৌমিকের ইঞ্জিনিয়ারিং’র ডিগ্রিও ছিল। বহু আলোচিত মামলায় তিনি লড়েছেন। চড়িলামের কন্যা শিশু হত্যা মামলা, যেখানে ট্রায়াল কোর্টে আসামীর ফাঁসির সাজা হয়েছিল, ‘১০৩২৩’ শিক্ষক মামলায় নিয়োগনীতি বাতিলের বিষয়ে তিনিই সওয়ালে ছিলেন। অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে ডেইলি দেশের কথা মামলা, বাদল চৌধুরী মামলা, ইত্যাদিতে ছিলেন।
কয়েক বছর আগে তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
আগরতলায় বেসরকারি হাসপাতালে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গিয়ে দেখে এসেছিলেন। আইনমন্ত্রীও দেখতে গিয়েছিলেন। কলকাতায় গতকালই নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ত্রিপুরায় চিকিৎসা ব্যবস্থা মুম্বইয়ের চেয়ে ভাল।