রিপাব্লিক টিভি’র প্রধানমুখ অর্ণব গোস্বামীকে মুম্বই পুলিশের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপি ত্রিপুরায় মিছিল করেছে। অর্ণব গোস্বামীকে তারা ‘রাষ্ট্রবাদী’ সাংবাদিক বলেছেন।
বিরোধীরা মিছিল পুলিশ আটকে দেয় ত্রিপুরায়, আজ অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। মিছিল হয়েছে আগরতলায়। সভা-মিছিল করে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা, এই কথা বিজেপি বহুবার বলেছে। বিজেপি আজ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ঘোষণা দিয়েই মিছিল করেছে।
ত্রিপুরায় আবার এখন আন্দোলনকে নিরুতসাহিত করা হয়।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বলেছে বিজেপি। বিরোধীরা বিভ্রান্ত করছে, এও বলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট বিজেপি-শিবসেনা মিলেই লড়েছিল, তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দুই পক্ষের টানাটানিতে সমঝোতা ছিঁড়ে যায়।
মিছিলে কারও মুখে মাস্ক আছে,কারও মুখে নেই। সামাজিক দূরত্ব নেই ।
সকালেই বাজারে মাস্ক-না-পরা নিয়ে প্রশাসন অভিযানে নেমেছিল।
অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া প্রতিক্রিয়া বলেছে, ‘শকড্’ । বরিষ্ঠ সাংবাদিকরাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, অর্ণব গোস্বামীর সাংবাদিকতার ধরনের সাথে একমত না হলেও, এই গ্রেফতারে তারা সহমত না।
২০১৮ সালে একজনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার দায়ে অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কিছুদিনে অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সম্প্রতি রিপাব্লিক টিভি’র নাম টিআরপি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগও আছে।
ত্রিপুরায় গত কয়েকমাসে একাধিক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। আমবাসায় স্যন্দন পত্রিকার সাংবাদিক যেদিন কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ছুটি পেরে বাড়ি ফিরেছিলেন, সেদিনই তাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বেশ অনেকজন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিডের জন্য কোয়ারান্টিনে থাকা সাংবাদিকের বাড়িও আক্রান্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী একটি সরকারি সভায় বলেছেন, তিনি সংবাদমাধ্যমকে ছাড়বেন না। সাংবাদিকরা আঅ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্ট গঠন করে তার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পরেছেন, রাস্তায় ধর্না দিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, সাংবাদিক আক্রমণে কয়েক ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা জড়িত, পুলিশ কোনও ব্যবস্থাঈ নেয়নি।
সেসব ক্ষেত্রে বিজেপি কোন শব্দও করেনি।