রাত হলেই রামনগরে বামপন্থী যুব কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ হচ্ছে। পর পর দু’দিন হল, গতকালও হয়েছে, আজও হচ্ছে। রামনগরের পরেই রণজিতনগর, সেখানে এক বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। দশমীঘাটে এসএফআই’র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি’র সম্পাদক সন্দীপন দেব’র বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। তাদের কাকা’র অটোরিক্সা ভাঙচুর হয়েছে। রামনগরে বিজয় বিশ্বাস’র বাড়ির লন্ডভন্ড করে জিনিসপত্র, টিভি ভেঙে দেয়া হয়েছে। রণজিতনগরে আরেক এসএফআই নেতা জয়দীপ রাউত’র বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তার বাড়ি গতকালও আক্রমণের মুখে পড়েছিল।
রামনগর, রণজিতনগর, দশমীঘাট, এইসব জায়গা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়। রামনগর কিংবা দশমীঘাট’র যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে, সেগুলি ত্রিপুরা পুলিশের সদর দফতর থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে।
সুমন দেব, জয়দীপ রাউত, ছাত্র নেতা অভিজিৎ দেব, গৌরব তলাপাত্র’র বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল গতরাতে।
বিরোধী সিপিআই(এম)’র অভিযোগ শাসক বিজেপি’র দিকে।
সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটি’র সদস্য পবিত্র কর বলেছেন, আরএসএস, বিজেপি দুবৃত্ত বাহিনী রাত দশটা থেকে অস্ত্র-শস্ত্র , পেট্রল নিয়ে এই হামলা করেছে। গতকালও হয়েছিল, তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু পুলিশ কিছু করার প্রয়োজন আছে মনে করেছে বলে তারা বুঝতে পারেননি। এই সপ্তাহেই পবিত্র কর’র খয়েরপুরের বাড়িতে ডিওয়াইএফআই’র মিটিঙ চলাকালে আক্রমণ হয়েছিল। সেই ঘটনার খবর আনতে গিয়ে তিনজন সাংবাদিকও আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বিরোধী দলনেতাসহ সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধি দল খয়েরপুর এলাকায় যেতে পারেননি। শাসকদলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন। গতকাল বিলোনিয়ায় এসএফআই’র ৫০ বছর পূর্তির শোভাযাত্রায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। বিজেপি-আইপিএফটি মন্ত্রীসভা শপথ নেয়ার আগেই বিলোনিয়ায় লেনিন’র স্ট্যাচু ড্রজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
ছবিঃ রামনগরে আক্রান্ত বিজয় বিশ্বাস’র বাড়ি।