প্ৰথম খবর

ত্রিপুরার ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের তিন সংগঠনের ডাকা গণ অবস্থান’র একুশ দিন

By thepongkor

December 27, 2020

ত্রিপুরার ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের তিন সংগঠনের ডাকা গণ অবস্থান’র একুশ দিন।

আগরতলার সিটি সেন্টার’র সামনে চলছে নিজের চাকরি ফিরে পাওয়া এবং মৃত সাথীদের পরিবারের রোজগারের ব্যবস্থার জন্য চলছে এই  দাবি-অবস্থান । ত্রিপুরায় তার আগে শিক্ষকদের কোনও আন্দোলন একসাথে এতদিন হয়নি।

২৭ ডিসেম্বর তারা মৃত সাথীদের পরিবারের মানুষদের অবস্থানে যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন। ৩১ মার্চ চাকরি গেছে তাদের। এখন পর্যন্ত ৭৭ জন মারা গেছেন, তার মধ্যে আত্মহত্যাও আছে।

হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা খরচের জন্য আবেদন করার ঘটনাও আছে।

রোজগারের ব্যবস্থার দাবিতে মরিয়া হয়ে তারা রাস্তায় বসেছেন।

ছোট সন্তানদের নিয়ে অনেকেই রাস্তায় , শীতের রাত কাটাচ্ছেন।

 

শিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে কুৎসা ছড়ানোও চলছে। অবস্থানের জায়গায় উপদ্রব হচ্ছে, অভিযোগ এনে পুলিশ প্রধানের কাছেও গেছেন তারা।

সেপ্টেম্বর মাসে মহাকরণ অভিযান করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেয়েছেন তারা। জল-কামানও চালানো হয়েছিল।

তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তারা দেখা করেছিলেন। বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তারা বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী দুইমাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের জন্য ব্যবস্থা হবে। “ নোকরি নেহি যানা চাহিয়ে( চাকরি যাক, এটা চাই না)। … আইন সংশোধন করে ব্যবস্থা হবে…,” বলেছিলেন বিজেপি নেতা ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

ত্রিপুরা সরকার এখন, অন্য বেকারদের সাথে তাদের গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদের  চাকরির পরীক্ষায় বসতে বলছে।

তারা কেউ দশ বছর চাকরি করেছেন, কেউ সাত বছর।

ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী, যিনি শিক্ষামন্ত্রীও, রতনলাল নাথ মার্চ মাসে তাদের জন্য ‘বিকল্প’ ব্যবস্থা করার কথা বলতে গিয়ে তাদের বেতন কীরকম হতে পারে, সেই পর্যন্ত বলেছিলেন। বেতন (শিক্ষকরা যা বেতন পাচ্ছিলেন ) তার ‘আশে-পাশে’ থাকবে, বলেছিলেন।

বিরোধী সিপিআই(এম)’র বিধায়করা  মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এই নিয়ে। বিরোধী দলনেতা তারপর সাংবাদিকদের বলেছনে, তারা মুখ্যমন্ত্রীকে, ২০১৭ সালে তৈরি করা  ১৩০০০ পদে নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবেন বলেছনে।

বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে কথা বললে, বলতেও পারেন।

এখন পর্যন্ত সরকার আন্দোলনকারীদের সাথে কোনও কথা বলেনি।