রাস্তায় পড়ে ছিল দেহ। আজকাল ত্রিপুরায় এমন ঘটনা ঘন ঘন হচ্ছে। দক্ষিণ ত্রিপুরার চালিতাছড়িতে সকালে একজনকে মৃত পাওয়া গেছে। বছর সাতাশের গিরিন্দ্র ত্রিপুরার দেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গতরাতে বেতাকা থেকে চালিতাছড়িতে বাড়ি ফেরার পথে গিরিন্দ্র যে অটোরিক্সায় ফিরছিলেন, তার দুর্ঘটনা হয় মহিসিং পাড়ায়। সেই গাড়ি পালিয়ে যায়, পরে আরেকটি অটোরিক্সা রাস্তায় তাকে পেয়ে তুলে নেয়, এবং বাড়ির কাছাকাছি নামিয়ে দেয়। গিরিন্দ্র দুর্ঘটনায় পেছন দিকে ব্যাথা পেয়েছিলেন। বলছেন এলাকাবাসী।
গিরিন্দ্র’র ভাইও সেরকম বলেছেন, তিনিও অন্যদের থেকে শুনেছেন।
রাস্তায়ই আবার এক প্রতিবেশির কাছে চাদর চেয়েছিলেন গিরিন্দ্র। তাকে একটি চাদর, সাথে একটি ব বালিশও দেন সেই প্রতিবেশি। গিরিন্দ্র নাকি তাকে কাউকে ডাকতে না করেন। সকালে সেই প্রতিবেশি কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে, গিয়ে দেখেন গিরিন্দ্র মারা গেছেন।
সব মিলিয়ে বিষয় বেশ সন্দেহজনক।
যে অটোরিক্সা দুর্ঘটনায় পড়েছিল বলা হচ্ছে, সেটি পুলিশ আটক করেছে। চালক চিরঞ্জিত ত্রিপুরা পলাতক। দ্বিতীয় যে অটোরিক্সা তাকে বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়েছিল বলা হচ্ছে, সেটি চালাচ্ছিলেন মানিকধন ত্রিপুরা।
এই সপ্তাহেই মোহনপুরের রাস্তায় একজনকে সকালে খালি গায়ে মৃত পাওয়া গেছে। সেদিনই তেলিয়ামুড়ায় একজনকে রাস্তার পাশে পাওয়া গেছে, তিনিও তখম মৃত।