প্ৰথম খবর

ছয় অস্বাভাবিক মৃত্যু। এক ডাক্তারি পড়ুয়াও তালিকায়।

By Master

January 15, 2021

একদিনেই ত্রিপুরায় ছয়টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। একজন ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীও আছেন।। কমলপুর, কল্যাণপুর, কৈলাসহর, আগরতলা, এবং খুমুলুঙে পাওয়া গেছে দেহগুলি।

স্বর্ণালী দাস নামে আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী স্বর্ণালী দাস’র দেহ পাওয়া গেছে কল্যাণপুরে। তিনি প্রথম বছরের ছাত্রী ছিলেন। কল্যাণপুরের কমলনগরের তার বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পরিবারের লোকজন দেখতে পান। কিছুদিন আগে এই কলেজেরই ফাইন্যাল ইয়ারের ছাত্র আদর্শ দে’র দেহ পাওয়া যায় হস্টেলের ঘরে। আদর্শ দের বাবা অভিযোগ করেছেন, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগও করেছেন, তবে এখনও কিছু হয়নি।

কমলপুরে অনিতা কন্দকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে ঘরে। চিৎকার শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এসেছিলেন। তারাই পঁচিশ বছরের অনিতাকে কমলপুর হাস্পতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা জানান, আগেই মারা গেছেন। পুলিশ স্বামী অমৃত কন্দকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিসের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় এই ঘটনা, অমৃত কন্দ ধারালো কিছু দিয়ে স্ত্রীর মাথায় মেরেছেন।

খুমুলুঙের ন্যুয়াই অডিটোরিয়ামের কাছে বিভাস দেববর্মা নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গাছের ডালে ফাঁস লাগানো ছিল। কিন্তু তার পা মাটিতে ছিল। রাধাপুর থানার পুলিশ এসে দেহ নিয়ে গেছে। কৈলাসহরে দুটি দেহ মিলেছে। পঁয়ষট্টি বছরের মিন্টু কর্মকার পড়েছিলেন ড্রেনে। গোবিন্দপুর এলাকায় তার বাড়ি। একেবারেই গরীব অংশের মানুষ মিন্টু কর্মকার। তার ছেলে ইটভাঁটার শ্রমিক। শ্রীরামপুর গ্রামের কিনাইচর এলাকার যুবক জয় দাস। বয়স মাত্র কুড়ি। বাড়ির সামনের গাছে ঝুলছিল তার দেহ। পরিবারে রোজগারপাতি তেমন নেই। প্রায়দিনই ঝামেলা লেগে থাকত বাড়িতে।

আগরতলার মহেশখলা এলাকায় শ্যামল সরকারের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে।

ত্রিপুরায় অস্বাভাবিক মৃত্যু যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।