প্ৰথম খবর

ত্রিপুরার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র জিবিপি হাসপাতাল ভুগছে এক্স-রে সমস্যায়!

By Master

February 04, 2021

ত্রিপুরার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র জিবিপি হাসপাতালে এক্স-রে ফিল্ম’র অভাবে রাজ্যের একমাত্র ট্রমা কেয়ার সেন্টারের এক্স-রে মেশিন বন্ধ ছিল। প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট আছে অর্থোপেডিক্স আউট পেসেন্ট ডোর’র এক্স-রে মেশিনটি। অর্থোপেন্টোমোগ্রাম(ওপিজি) এক্স-রে মেশিনটি অনেক দিন নষ্ট হয়ে পড়েছিল, হালে ঠিক হয়েছে। দাঁতের, চোয়ালের প্যানোরোমিক ভিউ পাওয়া যায় এই মেশিনে। ট্রমা কেয়ারেও এই মেশিনের দরকার আছে।

জিবিপি হাসপাতালের একটি সিটি স্ক্যান মেশিন অচল হয়ে আছে প্রায় এক বছর ধরে। কম্পুটারাইজড রেডিওগ্রাফি’র ‘কেয়ারস্ট্রিম’ ব্যবস্থাও চালু অবস্থায় নেই। কোভিড ব্যবস্থাপনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে যেদিন মিটিং করেছিলেন, সেদিনও ডাক্তারদের পক্ষ থেকে সিটি স্ক্যান মেশিন’র মেরামতির বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেয়া এবং নতুন মেশিন কেনার দাবি উঠেছিল, আলোচনা সব ফেসবুকে লাইভ হচ্ছিল।

জিবিপি হাসপাতাল’র মেডিক্যাল সুপার বলেছেন যে তিনি জানেনই না ট্রমা সেন্টারে এক্স-রে মেশিন চলছে না। কেউ নাকি তাকে জানাননি।

কয়েকমাস আগে এই হাসপাতালেরই মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আগুন লেগেছিল, ফ্রায়ার ব্রিগেড গিয়ে আগুন নেভান, সেদিনও অবশ্য মেডিক্যাল সুপার বলেছিলেন, তিনি আগুন লাগার ঘটনাই জানেন না।

” কয়েক বছর ধরেই এক্স-রে প্লেট নিয়ে মারাত্মক সমস্যা চলছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ নেই। যত চাওয়া হয়, তার অনেক কম পাওয়া যায়। টাকা পাওয়ায় দেরি হয়, তাতে সাপ্লায়াররা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন,” নাম না বলার শর্তে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালেরই একজন। “আগে মুখে অর্ডার দিলেও কাজ হত, অন্তত জরুরি সময়ে এক্স-রে ফিল্ম পাওয়া যেত। এখন আর তা হয় না। বিশ্বাসের জায়গাটাই টলে গেছে। তারসাথে আছে প্রশাসনিক জটিলতা। এটা না, সেটা লেগেই আছে। যারা সরাসরি কাজটা করছেন তারা সমস্যায় পড়ছেন। রোগীদের বিরক্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রমা সেন্টার থেকেও রোগীকে টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে অন্য জায়গায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। এক্স-রে ফিল্মের বাফার স্টক রাখা ভীষণ জরুরি। বেশ কয়েকটি ব্র‍্যান্ডের মেশিন আছে, তাও ফিল্মের সমস্যা কমছে না। দিনে আড়াই-তিনশ এক্স-রে হয় এই হাসপাতালে।” হতাশা থেকে বলেছেন আরেকজন।

জানা গেছে, জিবিপি হাসপাতাল’র রেডিওলজি বিভাগ থেকে প্রতি মাসে সরকারের কোষাগারে সাতাশ-আটাশ লাখ টাকা জমা পড়ে। চাইলে সেই টাকাতেই এই হাসপাতালের এইসব দরকার মিটিয়ে ফেলা যায় বলে মনে করেন এই দফতরেরই কেউ কেউ।