বাংলাদেশে অসুস্থ মা-কে দেখে দিল্লিতে ফিরে যাবার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন সোনা মিঞা।
তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে গতকাল।
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতই অবৈধ পারাপার হচ্ছেন মানুষ। প্রায়ই রোহিঙ্গা অংশের মানুষ ধরাও পড়েন। নিজের দেশ ছাড়ছেন বাধ্য হয়ে।বাংলাদেশে এসে উঠেন। সেখান থেকে পেটের তাগিদে ছড়িয়ে পড়েন পাশের বড় দেশ ভারতে।
সোনা মিঞা’র কাহিনিও সেরকমই।
২০০৯ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পরের বছর পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা দিয়ে ভারতে ঢোকেন। পারি জমান দিল্লিতে। সেখানে একটি রোহিঙ্গা দলের সাথে মিলে ছোটখাটো ব্যবসা করছেন এগার বছর ধরে।
বাংলাদেশে রয়ে গেছেন মা এবং অন্যান্যরা। খবর পেয়েছেন মা অসুস্থ। দিল্লি থেকে আগরতলা হয়ে সোনামুড়ার সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। মা-কে দেখে ফিরছিলেন দিল্লিতে। আগরতলা থেকে ফ্লাইট ধরতেন।
খবর পেয়ে বিশালগড়ের পুলিশ মধ্যরাতে অভিযান চালায়। একটি গাড়ি থেকে সোনা মিঞাকে আটক করা হয় অবৈধভাবে ভারতে আসার জন্য।
কিছুদিন আগে আসামের গুয়াহাটিতে বিএসএফ-বিজিবি’র শীর্ষস্তরে মিটিঙ হয়েছিল। সেখানে সাংবাদিকদের বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বিজিবি’র প্রধান বলেছিলেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সমস্যা শেষ না হলে এই সীমান্ত পারাপারের সমস্যারও সমাধান নেই।
লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা অংশের মানুষ বিদ্বেষের শিকার হয়ে বাংলাদেশে, ভারতে চলে এসেছেন।
ফাইল ছবি।
COMMENTS