একদিনে পাঁচটি দেহ দেহ উদ্ধার হল রাজ্যে। ঘটনা গতকালের। পুলিশের বক্তব্যে সবকটিই আত্মহত্যা।
এদিন যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০৩২৩ শিক্ষক, একটি কলেজ ছাত্রী, একজন যুবক এবং বাকি দুজন শ্রমিক।
হাপানিয়া এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার ঘরে থেকে। মেয়েটির নাম সৌমিতা পাল। বাড়ি কৈলাশহরে। বয়স মাত্র উনিশ। প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। হাপানিয়ার আশিস পালের বাড়িতে মা মেয়ে ভাড়া থাকতেন। এদিন মা গিয়েছিলেন বড় মেয়ের বাড়িতে। ফিরে এসে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে সৌমিতার দেহ।
মজুরির বদলে মারের অপমান সহ্য না করতে পেরে বিষ খেয়ে এক শ্রমিক মারা গেছেন। মৃতের নাম সোনাই দাস।
পশ্চিম জেলার লেফুঙ্গা এলাকার লক্ষ্মীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোনাই দাস। সে আড়ালিয়ার এক বাড়িতে নির্মাণ কাজ করতো। ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনাই দাস ঐ বাড়িতে মজুরি আনতে গেলে টাকা দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। এনিয়ে দুজনের মধ্যে বচসাও হয়। অভিযোগ, বাড়ির মালিক এলাকার কিছু লোক দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক সোনাই দাসকে পেটায়। ঘটনার খবর পেয়ে সোনাই দাসকে সেখান থেকে নিয়ে আসে তাঁর ভাই। মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সোনাই। বাড়ির লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাকে আগরতলার জিবিপিতে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জিবিপিতে মারা যান সোনাই দাস।
ঘর থেকে এক ব্যক্তির গলায় কাপড়ের ফাঁস জড়ানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।।ঘটনা সিপাহীজলা জেলার মধুপুরের মাখন সর্দার পাড়ায়।
এলাকার বাসিন্দা পঞ্চাশ বছর বয়সী বেনু লালা দাস সকালে বের হয়েছিলেন কাজে। কাজ পাননি। দুপুরে বাড়িতে ফিরে ঝুলে যান।
তেলিয়ামুরার মহারানী এলাকার কপালিটিলার বাসিন্দা সৌম্য সরকার গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার তার পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি গরু চড়াতে বের হয়েছিলেন সৌম্য। তারপর বাড়িতে ফেরেনি। পরিবারের লোকজন তেলিয়ামুড়া থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। বুধবার এলাকাবাসীরা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান।
বিশ্বজিৎ দাস নামে ১০৩২৩ শিক্ষকদের একজন আত্মহত্যা করেছেন। উত্তর ত্রিপুরার ব্রজেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলন এই শিক্ষক। গত বছর মার্চ মাসে বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রী গর্ভবতী। বাড়িতে চার ভাই, এক বোন এবং মা বাবা রয়েছেন। দুদিন আগে বোনের বিয়ে গেছে। চাকরি চলে যাবার পর থেকেই মনমরা থাকতেন। গতকাল বাড়ির লোকজন দেখেন বিশ্বজিতের ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ। তখনই ডাকাডাকি শুরু করেন বড় ভাই। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢোকেন তারা। দেখেন বিশ্বজিৎ ঘরের ফ্যান এর সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।