লটারির নামে ঠগ-জচ্চুরি বহুদিন ধরেই চলছে। ই-মেলে এরকম লটারি পাওয়ার খবর আসে। তারপর লটারির সেই টাকা পাওয়ার জন্য প্রথমে অল্প কিছু টাকা জমা দেয়ার জন্য বলা হয়, সেই ফাঁদে পা দিলে এবার টাকা যেতেই থাকবে। অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে থাকেন। লটারি না কেটেও লটারি পাওয়া কিংবা টাকা পেতে টাকা দিতে হবে কেন, এই প্রশ্ম মুলতুবি রেখে টাকা দিয়ে ফেলেন অনেকেই। মোহনপুরে একজনের ছয় লাখ টাকার বেশি খোয়া গেছে, তেলিয়ামুড়ার এক শিক্ষকের বেশ কয়েক লাখ, তেমন খবর কাগজে বেরিয়েছে।
কোকাকোলা, মার্সিডিজ, ব্রিটিস অ্যাম্বাসি, এমন কত নামই যে ঠগেরা ব্যবহার করেন। এই প্রতিবেদক আরবিআই’র নামে ই-মেল পেয়েছিলেন, সেখানে তখনকার আরবিআই গভর্নরের ছবি।
আবার অন্য ফাঁদও আছে। আয়কর ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে, ইনস্যুরেন্স থেকে বোনাস দেয়া হবে, এরকমও থাকে। বাড়িতে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে, এমন ফোন আসে। অতি সামান্য বুদ্ধিতেই বোঝা যায়, এসব ভুয়া ব্যপার। তবে ফোন কলে, যাকে ফোন করা হচ্ছে তার নাম উল্লেখ করেও বলা হয়। “ক্যায়া ম্যায় দিপানকার সেনগুপ্তাজী সে বাত কর সাক্তা হু?” ইদানিং আবার হেন-সমীক্ষা, তেন-সমীক্ষা করা হচ্ছে বলে ফোন আসছে। ” ইন্ডিয়া গরমেন্ট কা সার্বে মন্ত্রক সে বোল রাহা হু” কোথায় সেই মন্ত্রকের অফিস, ল্যান্ড নম্বর কত, কিংবা এই ফোন রেকর্ড করে পুলিশকে দিচ্ছি বললেই অবশ্য ফোন কেটে যায়। বাংলা ভাষাও বীমা-বোনাস, বা মোবাইল-টাওয়ারের ফোন আসে। ঠগদের ঠেকানো যায়, কিন্তু নাম-ঠিকানা, আরও খুটিনাটি তারা পাচ্ছেন কোথায়! লেটেস্ট, কেবেসি লিখে এই ‘লটারি প্রাপ্তি’ এখন ওয়াটসঅ্যাপে আসছে। ফোন নম্বর নিতে তো ঠিক ঠিক কাগজ জমা দিতে হয়। লটারির টাকা পেতে যে টাকা জমা দেয়ার কথা বলা হয়, তাতেও সেই টাকা জমা করার জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্ট নামে-ধামে দেয়া হয়। ধরা যায় না তাদের? এই প্রতিবেদক অন্তত দুইবার থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন।আরও এক-দুইবার ই-মেলে জানিয়েছেন। সেও অন্তত সাত-আট বছর হল, কেউ আজ পর্যন্ত ফোন করেও অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাননি। এই খবর ধরেও তদন্ত হলে দ্য প্লুরাল কলাম এগিয়ে আসবে।