নেশামুক্ত ত্রিপুরা! বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের সময়ে এমন একটি কথা চল করার চেষ্টা আছে। আর ছোট ছোট লাল-হলুদ কৌটোয় নেশার জিনিস বিক্রি নেই, তা নয়। বরঞ্চ বেড়েছে। বিজেপি সরকারে আসার পর গাঁজাচাষ না হবে না,ইত্যাদি নানা দাবি শোনা যেত। গাঁজাচাষ উঠে যাওয়া দূরে থাক, পুলিশের লোক তাতে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয় সামনে এসেছে।
এখন এক বিজেপি বিধায়কই বিধানসভায় প্রস্তাব করলেন গাঁজা চাষকে আইনের আওতায় আনতে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জবাবে বলেছেন, তিনি এক্সপার্টদের বলবেন বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য।
বিজেপি বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল বলেছেন, গাঁজার ওষুধি গুণ আছে। গাঁজা চাষকে আইনী স্বীকৃতি দিলে রাজ্যের আয় বাড়বে। গ্রামের অর্থনীতি ভাল হবে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে গাঁজা চাষের স্বীকৃতি আছে। যদি কান্ট্রি লিকার এবং ফরেন লিকারকে স্বীকৃতি দেয়া যায় তাহলে গাঁজাকে দেয়া যাবে না কেন! ত্রিপুরার চোরাই বাজারে প্রতিদিন গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। সরকার কড়াকড়ি করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এবং ত্রিপুরাতে গাঁজা খেয়ে মাতলামি করার নজিরও খুব বেশি নেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গাঁজাতে আয় ভালো হয়, এটা সত্যি। কিন্তু কৃষকরা যাতে আরও বেশি আয় করতে পারেন, তার জন্য সরকার ড্রাগন ফল, আনারস, মাস কলইয়ের চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। এই তিনটিকে গাঁজার বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
আবার দিবাচন্দ্র রাঙ্খল বলেছেন, ড্রাগন ফলের চাষে অনেক পুঁজির দরকার। এখন মানুষ আনারস চাষে উৎসাহ হারাচ্ছেন।
শেষ পর্যন্ত বিপ্লব দেব মন্তব্য করেছেন, , বিধায়ক যখন প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি এক্সপার্টদের বলবেন বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য।
তার আগেও এক বিজেপি বিধায়ক গাঁজাচাষকে আইনের আওতায় আনা যায় কিনা, সেই প্রস্তাব তুলেছিলেন।