প্ৰথম খবর

বিদ্বেষের আমদানি। সাম্প্রদায়িক ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা।

By Master

March 04, 2021

কে কী খাবেন, এবং কী করবেন, কাকে বিয়ে করবেন, ত্রিপুরায় এখন এসব নিয়েও বিদ্বেষী ও অপরাধমূলক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।সেরকমের খবর হলে, সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে পোস্ট পরে ওয়াটসঅ্যাপে।

এই নীতি-পুলিশের ভূমিকায় গেরুয়া শিবির। রাখ-ঢাক না করেই প্রকাশ্যেই চলছে জোর-জবরদস্তি। প্রশাসন চোখ বোজা অবস্থায়।

এই সপ্তাহেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু অংশের দুইজন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। গরুর মাংস কিনেছিলেন তারা। ত্রিপুরায় গরুর মাংস খাওয়ায় আইনের কোনও নিষেধ নেই। মুরগি, পাঁঠা, শুয়োরের মাংস প্রকাশ্যেই বিক্রি হয়। সংখ্যাগুরুর সেন্টিমেন্টের জন্যই বাজারগুলিতে গরুর মাংস বিক্রি হয় না। আবার আইনত নিষিদ্ধ কচ্ছপ বিক্রি হয় প্রকাশ্যেই, রাজধানী আগরতলার প্রত্যেকটি বাজারেও, যেসব জায়গায় আমলা, শিক্ষাবিদ, জনপ্রতিনিধি সবাই যান।

মানুষকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি খালেক মিয়াঁ। খয়েরপুরের লাড্ডু চৌমুহনী এলাকায় বাঁশের কাজ করেন। এটা তাদের পারিবারিক ব্যবসা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তারা সেখানে থাকছেন। দিন দুয়েক আগে খালেক মিয়াঁ তার এক আত্মীয়কে নিয়ে ইচামোয়াতে যাচ্ছিলেন। তাদের সাথে গরুর মাংস ছিল। নীতি পুলিশেরা তাদের আটকান, ‘গরু প্রাণী হত্যা মহাপাপ’ বলে সংখ্যালঘু দুইজনকে হেনস্তা করা হয়। দুইজনকেই নীতি পুলিশেরা ‘তুই-তুমি’ বলে সম্বোধন করছিলেন।

এলাকায় খালেক মিঁয়াকে সবাই চেনেন। শেষ পর্যন্ত খালেক এবং নার্গিস মাফ চাইতে বাধ্য হন। এখানেই শেষ না। পুলিশ ডাকা হয়। যদিও দুইজনের কোনও অপরাধ নেই আইনত।

যদিও পুলিশ তাদের কিছুদূর এগিয়ে এনে ছেড়ে দিয়েছিল।

বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এইসব হচ্ছে। বিয়ে বাড়ির রান্না মাংস ফেলে দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে আগরতলায় জয়পুরের দিকে গণ্ডগোল করা হয়েছে। লাভ-জিহাদ নামক বিদ্বেষ আমদানি করা হচ্ছে।

প্রশাসনের কিংবা রাজনৈতিক, কোনও স্তরেই এইসব নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই।