মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইট-পাটকেল মারার পরেই পুলিশ অ্যাকসন নিয়েছে, তাতে কেউ আহত হলে হয়েছেন। আরও বলেছেন, তারা এখানে-যাবেন-ঘেরাও করবেন বলার পরে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারা ইট-পাটকেল মেরেছে, সেসব ভিডিও রেকর্ডিং দেখালে বিরোধীদের পক্ষে জবাব দেয়া মুশকিল হয়ে যাবে। আগরতলায় ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের বাহান্নদিন আন্দোলন পুলিশ লাগিয়ে তুলে দেয়া, ইত্যাদি নিয়ে বলছিলেন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সিপিআই(এম) বিধায়ক মবস্বর আলি ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও’র কথা তুলে ধরে বলেছেন, তখন সহনশীলতার সাথে তা দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ২০১৭ সালের সেদিন ওই ঘেরাওয়ে ছিলেন।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের সমস্যা মানবিকভাবে সমাধান করবে। নেডা’র নেতা আসামের মন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, তাদের ‘নোকরি নেহি জানা চাহিয়ে’। তিনি আইন সংশোধন করে চাকরি বাঁচিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন। সুদীপ রায় বর্মন’র সাথে কয়েকজন ‘১০৩২৩’ শিক্ষক দিল্লি ঘুরে এসে ধন্যবাদ র্যালি করেছিলেন। সেখানে ‘এটিভিটিএ’ নেতা অরবিন্দ শর্মা বলেছিলেন, তাদের বিষয় সংসদে পেশ হচ্ছে।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই সরকার ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের সরাসরি নিয়োগ দেবে না। শিক্ষামন্ত্রী এই আলোচনাকেই অযথা আলোচনা বলেছেন।
আবার এই শিক্ষামন্ত্রীই তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছেই, বেতন কীরকম হবে, তাও বলে দিয়েছিলেন একসময়।
বিরোধীদের মুখ দেখাতে অসুবিধা হবে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজেপি বিধায়ক, যে এই মন্ত্রীসভায় থেকে বাদ পড়েছেন, সুদীপ রায় বর্মন তেলে-বেগুনে চিৎকার করে উঠেন। বামফ্রন্ট সরকার অশিক্ষক পদে ইন্টারভিউ নিয়ে রেখেছিল, সেই পদে চাকরি ছাড়লে ‘১০৩২৩’-র হিল্লে হয়ে যেতে পারত, বিজেপি সেই চাকরি ছাড়েনি।
ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি, তখনকার মানবসম্পদ মন্ত্রীর নাম নিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি দেয়া, সুদীপ রায় বর্মনের ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের কয়েকজনকে দিল্লিতে নিয়ে তার সাথে দেখা করিয়ে আনা, ফিরে এসে সেই শিক্ষকদের সংসদে পেশ হওয়ার কথা,এইসব কথা অবশ্য বিরোধীরা বিধানসভায় তুললেনই না, বরঞ্চ সুদীপ রায় বর্মন’র ধমকের মুখে মিনমিন করলেন।