একদিনে পাঁচটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ত্রিপুরায়। এর মধ্যে জলে ডুবে মারা গেছেন দুজন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন দুজন এবং রেলে কাটা পড়েছেন একজন।
উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরে পুকুরের জলে ডুবে মারা গেছে সাত বছরের এক শিশু। নাম সমৃদ্ধ দাস। বাচ্চাটির বাবা-মা দুজনেই ১০৩২৩ শিক্ষক।
ধর্মনগর থানা রোড এলাকায় তাদের বাড়ি। শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে বাড়ির সামনেই জন্য মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন সুদীপ দাস। শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিলেন দোকানে। স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা বাড়ির কাজ করছিলেন। হঠাৎ করেই সমৃদ্ধকে না দেখতে পেয়ে শুরু হয় খোজাখুজি। পরে পাশের বাড়ির পুকুরে সমৃদ্ধের দেহ ভাসতে দেখেন এলাকার মানুষ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তার বলেছেন হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে সমৃদ্ধ।
খোয়াই নদীর জলে পাওয়া গেছে ২৩ বছরের যুবক রাকেশ বিশ্বাসের দেহ। তার বাড়ি কল্যানপুরের উত্তর কমলনগর গ্রামে। গতকাল সকালে রাকেশ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। গিয়েছিলেন ন্দিতে মাছ ধরতে। বিকেল নাগাদ জলে ভাসতে দেখা যায় রাকেশের দেহ। আজ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাড়ি তৈরির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছেন। ঘটনা আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। সেখানে একটি ত্রিতল ভবনের কাজ চলছে। কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। বিল্ডিং লাগোয়া রয়েছে বৈদ্যুতের তার। হঠাৎ দুই শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উপর থেকে পড়ে যায়। দুই শ্রমিককে বিদ্যুৎ নিগমের গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইজিএম হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা বলেছেন জয় দাস নামে এক শ্রমিক হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।
আরেক শ্রমিক মন চক্রবর্তীকে আইজিএম হাসপাতাল থেকে জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সন্ধ্যার পর তিনিও মারা যান।
রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। মৃতার পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার আগরতলার ইচা বাজার রেল ক্রসিং সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানী তেজস এক্সপ্রেস আগরতলা স্টেশনে আসছিল। তখনই ঐ এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনা। বৃদ্ধার আনুমানিক বয়স ৭০ বছর।