ত্রিপুরা স্বশাসিত উপজাতি জেলা পরিষদ নির্বাচন গেল। ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিআই(এম) বুথ দখল, শাসক বিজেপি-আইপিএফটি’র ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার অভিযোগ এনেছে। কংগ্রেস বলেছে, ব্যাপক রিগিং করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি’র, “কয়েকটি জায়গায় প্রতিহত হওয়ায় সাহস পায়নি তারপর” । শাসক বিজেপি এবার ভোটকে ‘সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ’ হয়েছে বলে দাবি করেছে।
প্রাথমিকভাবে ৭৮.১২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে খবর।
অমরপুরের চেলাগাঙে একটি বুথ এলাকায় বিজেপি তাদের ভোট দিতে হুলিয়া জারি করেছে অভিযোগ এনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল। গতকাল সারারাত এলাকায় গন্ডগোল করেছে , থানাকে ডেকেও পাওয়া যায়নি বলে তারা অভিযোগ করেছেন। আমতলি-গোলাঘাটি’র ধরিয়াতল বুথে তিপ্রা মথা’র সমর্থকরা ব্যপক ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। সেখানে পুলিশকে বাতাসে এক রাউন্ড গুলি চালাতে হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের মাঠেও দাদাগিরি করতে দেখা গেছে। ভোটারদের রাস্তায় ধরে বলা হচ্ছে, ‘চলে যাও’, ‘পরে এসো’, ‘চারটার পর যেতে বলেছে’, ইত্যাদি। ঋষ্যমুখের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ভোটার না হয়েও বসেছিলেন একটি বুথে। জিজ্ঞাসায় তিনি বলেছেন, সমাজ সেবা করতে এসেছেন। ঋষ্যমুখেরই এক বিজেপি হাফ-নেতা রবীন্দ্র গোপ রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে গেছেন। তবে তিনি বলেছেন, গাড়ি থেকে পড়ে গেছেন। তবে সেই মন্ডলের সভাপতি তাকে ডেকে এনেছিলেন , তিনি বলেছেন। বোধজংনগরে একটি বুথে ভোট নেয়া বন্ধ ছিল।
কয়েকজন ভোটার আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তিও আছেন।
কাঞ্চনপুরে আগরতলার লোক গাড়িতে ঘুরেছে বলে খবর।
সেখানে এক মহিলা আহত হয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন,পুলিশে অভিযোগ করেছেন।
বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ রাজ্যের নানা জায়গা থেকে এসেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ আছে।
সিপিআই(এম) চিঠি দিয়ে নির্বাচন কতৃপক্ষকে বলেছে, রাইমাভ্যালি, গঙ্গানগর-গণ্ডাছড়া,পেকুয়ারজলা-জন্মেজয়নগর, বোধজংনগর-ওয়াকিনগর এবং আরো অন্যান্য জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। কোনও কোনও বুথ একেবারেই দখল করে নেয়া হয়েছে।কোথাও ভোট কেন্দ্রের এনক্লোজার দখল করে ভোটারদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিপিআই(এম) গতকালও চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিল যে বিজেপি’র ছেলেদের পেট্রলের স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে গাড়ি-বাইক নিয়ে লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। কোথাও কোথাও টাকা দেয়া হচ্ছে ভোটারদের। কাঞ্চনপুরের ডাকবাংলোতে ‘রাজীব ভট্টাচার্য’ অবস্থান করছেন বলেও অভিযোগ করেছিল সিপিআই(এম)।
সিপিআই(এম) ৬৫ বুথে আবার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।