ভাঙা অফিসে বিজেপি নেতারা।তাদের দেখে আবার লোক জড়ো হয়েছিলেন।

ত্রিপুরায় ঠিক একই রকম এতদিন দেখা গেছে, সিপিআই(এম) নেতা মানিক সরকার বা অন্যরা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া, ভেঙে ফেলা, লুটপাট হওয়া একের এক নিজেদের পার্টি অফিস দেখছেন।
২০১৮ সালে বিজেপি-আইপিএফটি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাম পার্টি অফিসগুলি নিয়মিত আক্রমণের শিকার। পুলিশ কিছু করেনি। কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে দেখেছে, শব্দ করেনি। অভিযোগ বিজেপি-আইপিএফটি’র দিকে।
উপজাতি জেলা পরিষদের ভোটের ফলে গতকাল টিএসপি(তিপ্রা মথা) সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-আইপিএফটি দল পারেনি।
বিজেপি অফিস ভাঙা পড়ছে এখন। বিশালগড়ের চেলিখলা এলাকায় তেমন একটি পার্টি অফিস দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপি’র নেতা টিংকু রায়, নবাদল বণিক, প্রমুখ।
তারা যখন ভাঙা অফিস দেখছিলেন আশে-পাশেই লাঠি নিয়ে জমায়েত হয়েছিলেন কিছু লোকজন।বিজেপি বিরোধী আওয়াজ উঠে। তড়িঘড়ি চলে আসেন নেতারা।
ঠিক একই রকম মানিক সরকার একবার বিশালগড়ের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন। লোকজন মোটা-সোঁটা লাঠি নিয়ে তার গাড়ি আক্রমণ করেন। সেসব ছবি ছড়িয়ে আছে অন্তর্জালে।
সিপিআই(এম) পার্টি অফিসগুলি যখন পুড়ছে, একই অফিস অসংখ্যবার আক্রান্ত হয়েছে, তালা মেরে দেয়া হয়েছে, পুলিশ কিছুই করেনি। অফিস খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেনি।বিজেপি নেতারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, ” তাদের ভেতরকার গন্ডগোল।”
প্রশাসন কোনও বিবৃতি দেয়নি, বাঁচাবার ব্যবস্থা করেনি, এই সে অপসংস্কৃতি বেড়ে উঠেছে, তা চলছে।
লেনিন’র মূর্তি মেশিন দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকরা নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ায় নালিশ জমা পড়েছে।
 
প্রতিমা ভৌমিক আজ বলেছেন, যে কোনও পার্টি অফিসই তার কর্মীদের কাছে মন্দির। যারা ভাঙচুর করেছে, তারা দুস্কৃতি, তাদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। পুলিশ ভাল কাজ করছে।
 
পুলিশ এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সিপাহীজলা জেলার এক মিলনাতনে তাদের কর্মী-সমর্থকরা এসে উঠেছেন।
আবার অভিযোগ, সফর ফিরতি বিজেপি’র লোকজন চড়িলামে এক বাম নেতাকে ধাওয়া করেছেন।

COMMENTS