বামপন্থীদের উপর আক্রমণের যে ঘটনা ঘটছে তা শুধু অভিযোগ না। তা বাস্তব ঘটনা। পঞ্চায়েতে, লোকসভায় অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেননি। জোর করে দখল করা হয়েছে। সে জায়গায় এডিসিতে শান্তিপূর্ণ অবাধ ভোট হবে কিনা, এই সংশয় অমূলক না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে মানুষের ভয় ভীতি কাটতে শুরু করেছে। ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেছেন।
তিনি ত্রিপুরার প্রাক্তন মার্ক্সবাদী মুখ্যমন্ত্রীও। কুড়িবছর একটানা চেয়ারে।
কথা বলেছেন দ্য প্লুরাল কলাম’র সঙ্গে।
বলেছেন, চুপ করে বসে থাকলে, নির্বাক থাকলে আপনার সমস্যা কমবে না। জিনিসের দাম কমবে না। রোজগারের ব্যবস্থা হবে না। শুধু বিজ্ঞাপন, ভাষণ আর বচন চলছে। তাই আপনাকে সজাগ, সচেতন এবং মুখর হতে হবে। আগে বামপন্থীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন সবাই আক্রান্ত। এটার একটা বহিঃপ্রকাশ ঘটবে বলে মনে করছেন মানিক সরকার।
আক্রান্ত হলে সিপিআই(এম) কি পারবে আটকাতে? এ প্রশ্নে বলেছেন, মানুষ চাইলেই সব কিছু করতে পারেন। মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলেই তা সম্ভব হবে। কিন্তু আলাদা করে কোন রাজনৈতিক দল তা করার চেষ্টা হলে এটার অন্য একটা ব্যাখ্যা হয়। আমরা চাইব, মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন। মানুষের মধ্যেই সিপিআই(এম)। সেখানে পার্টির ভূমিকা থাকবে মানুষকে সচেতন করা, এবং জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে।
“দেশের সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। রাজস্বের ঘাটতি থাকলে বড় পুঁজিপতিদের উপর ট্যাক্স বসাক। এটা করার সাহস নেই। রাষ্ট্রসম্পদ বিক্রি করে ঘাটতি মেটাচ্চ। এটা অমানবিক। মানুষকে এটার গ্র্যাভেটি বোঝাতে বলেছি, কোনওদিন না জাতীয় পতাকাটাই বিক্রি করে দেয় টেন্ডার ডেকে।”
মানিক সরকারের সাদা পাঞ্জাবিতে রোজভ্যালির দাগ ? খোয়াইয়ে বিলোনিয়াতে, মানিক সরকারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা বলেছেন, এটার কোনও গুরুত্ব তারা দিচ্ছেন না। কিছু মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ যাতে সরকারের দুর্বলতা নিয়ে মুখর হতে না পারেন, তার জন্য এসব করা হচ্ছে। রোজভ্যালির সম্পর্কে বিগত সরকারই মানুষকে সচেতন করেছেন, দাবি মানিক সরকারের। তার বক্তব্য তারা নিজেরাই এখন নিজেদের জালে জড়িয়ে পড়ছেন।
সংস্কারপন্থী বিজেপি বিধায়করা সিপিআই(এম)-র সাহায্যে সরকার ফেলে দিতে পারেন কি, কোনও প্রস্তাব?
মানিক বলেছেন, এ ধরনের কোন প্রস্তাব এসেছে বলে তার জানা নেই। পার্টিতেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে আরও কয়েকটি কথা তিনি বলেছেন। দেখে নিন ভিডিও।
সিপিআই(এম)-র ‘জোরদার’ বা ‘এগ্রেসিভ’ ভূমিকা নেই, সমর্থকদের থেকেই প্রশ্ন উঠছে।
প্লুরাল কলামও এই প্রশ্ন রাখেছিল হয়েছিল মানিক সরকারের কাছে। তিনি বলেছেন, যারা এই প্রশ্ন করছেন তারা হতে পারেন তাদের দলের সমর্থক। কিন্তু নিজেদের কোনও ভুমিকা নেই। পার্টি যদি কোনও কিছুই না করত, তাহলে সিপিআই(এম)এর উপর এত আক্রমণ কেন! ভূমিকা নিচ্ছে তাই আক্রমণ। যারা এসব বলছেন,তারা বাস্তবের মাটিতে পা রেখে বলেন না।
উপজাতি জেলা পরিষদে কয়টা আসন পাবে বামফ্রন্ট ?
মানুষ ঠিক করবেন কয়টা আসনে জেতাবে বাম্ফ্রন্টকে, বলেছেন মানিক সরকার।