জেলে পড়ে আহত বাদল চৌধুরী
রবিবার ফের জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী তথা ঋষ্যমুখের সিপিআই(এম) বিধায়ক বাদল চৌধুরীকে। শনিবার রাতে বিশালগড় সেণ্ট্রাল জেলে পড়ে যান নি। জানাগেছে রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ বাথরুমে জাবার সময় পড়ে যান বাদল চৌধুরী। রাতে তিনি ঘটনা কাউকে জানান নি। রবিবার তার শরীরে যন্ত্রণা হলে তিনি জানান জেল কর্তৃপক্ষকে। রবিবার সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ তাকে আনা হয় জিবিতে। ট্রমা সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। জিবিতে বাদল চৌধুরীর ইসিজি এবং সিটি স্ক্যান করা হয়। পরে কেবিনে নিয়ে ভর্তি করানো হয় তাকে। জিবিতে রয়েছেন তার স্ত্রী নমিতা গোপ, তার ভাই ডাক্তার অজিত চৌধুরী, সিপিআই(এম) নেতা তাপস দত্ত প্রমুখ।
গত বছর ১৩ অক্টোবর পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যশপাল সিং’এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার । সুনীল ভৌমিক গ্রেপ্তার হন এফআইআর দাখিল হওয়ার সাথে সাথেই। বাদল চৌধুরীকে দুই দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল পাশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। পরে ১৬ অক্টোবর তার জামিন বাতিল হয়। ২১ অক্টোবর অসুস্থ বাদল চৌধুরী আগরতলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছিল বুড়ো আঙুলের টিপ সই নিয়ে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন চৌধুরী। ৩০ অক্টোবর পুলিস তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে আদালতে তোলার চেষ্টা করে। আগরতলা হাসপাতাল থেকে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে থানাতেই ফের অসুস্থ হয়ে যান বাদল। তাকে আর আদালতে তোলা যায়নি সেদিন। ভর্তি করানো হয় সরকারী জিবিপি হাসপাতালে। ৮ নভেম্বর শেষ পর্যন্ত আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সিপিআই (এম)-এর এই নেতাকে। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আটক আছেন তিনি।
১৭ জানুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভায় বাদল চৌধুরীর গ্রেপ্তার নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সিপিএআই(এম) বিধায়করা।
আরও খবর এই নিয়েঃ
বাদল চৌধুরী ইস্যুতে বিরোধীদের ওয়াক আউট
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মানিক সরকার
ছবি ব্যবস্থাপনায় অভিজিৎ
আগরতলা, ত্রিপুরা