ত্রিপুরা পুলিশের হেফাজতে মারা গেছেন আগরতলার সুশান্ত ঘোষ। তার পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার দাবি করেছে কংগ্রেস। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস এই দাবি করেছেন আজ। তার প্রশ্ন, পুলিসের হেফাজতে একজন কী করে আত্মহত্যা করেন? ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবিও রেখেছেন পীযূষ । সন্ধ্যায় আগরতলা শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনীতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র-যুবরা। পুলিশি হেফাজতে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু নিয়ে সরব হন তারা। ডিওয়াইএফআই নেতা নবারুন বলেছেন, কেউ অপরাধী কিনা তা ঠিক করবে আদালত। পুলিশের হেফাজতে কীকরে বিচারাধীন আসামীর মারা যান ! এটা এক ভয়ানক অবস্থা। থানার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নবারুন’র বক্তব্য, ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কখন কী বলছেন, তা কেউ বলতে পারবেন না। তিনি যা খুশি, তাই বলছেন আর তার পুলিস যা খুশি, তাই করছে, দাবি নবারুনের।
বিকালে সুশান্ত ঘোষের দেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। তার ছেলেদের বক্তব্য, তাদের বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি কিছুই জানতেন না এটিএম হ্যাকিং নিয়ে। বাবাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে, এবং মারা হয়েছে। ছেলেদের দাবি ব্যবস্থা নেয়া হোক পুলিসের বিরুদ্ধে। ছেলেদের বক্তব্য ,থানা থেকে তাদের জানানো হয়ছে, মাফলার গলায় জড়িয়ে তাদের বাবা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মর্গে এসে তারা দেখতে পান গলায় গামছা প্যাঁচানো। মৃত সুশান্ত ঘোষের মা বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে তার ছেলেকে পুলিস জেরা করছিল। বাড়িতে ফিরে সুশান্ত বলেছিলেন, তিনি এটিএম হ্যাকিং-এর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। আরও খবর এই নিয়েঃ
দরজার কবজার সঙ্গে ঝুলে ছিল সুশান্ত’র দেহ ?
পশ্চিম থানার লকআপে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য, ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্তের নির্দেশ
আগরতলা, ত্রিপুরা