চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের পরে, লাশকাটা ঘরে

চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের পরে, লাশকাটা ঘরে

ত্রিপুরা পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে ঝুলন্ত পাওয়া গেছে কোয়ার্টারে,সন্ধ্যায়। আজই তার সন্তান জন্ম নিয়েছে।

জয়ন্ত বৈদ্য, মাত্রই তেত্রিশ বছরের, ছিলেন রাণিরবাজার থানায়, থাকতেন আগরতলার পূর্ব থানার পাশে সরকারি বাড়িতে।

‘একদিন আটবছর আগে’ বিলাসী পাঠে অদ্ভুত আবেগের অনুভূতি তৈরি করে,  “শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ মরিবার হল তার সাধ। বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল, আশা ছিল জোছনায় তবু সে দেখিল কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার? অথবা হয় নি ঘুম বহুকাল- লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।” প্রায় হুবুহু একই জিনিস  দেখা গেলে, হতাশাই তৈরি করে। সাধারণ প্রশ্ন, কেন! উঠে আসে। দূরের মানুষের কাছে, লাশকাটা ঘরে মুয়ে ঘুমায় এবার পর্যন্ত এসে থেমে যায়।  স্ত্রী-সন্তান-মা সরাসরি জবাব চাইবেন না, প্রশ্ন করে যাবেন, কেন !

বাড়িতে তখন শুধু মা-ই ছিলেন। স্ত্রী-সন্তান হাসপাতালে।

তিনি নাকি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ছিলেন।

দেহ মর্গে , ময়না তদন্তের অপেক্ষায়।

COMMENTS