ত্রিপুরার স্টেট গেস্ট হাউজে এখন প্রভারী-সম্বধর্না পরবর্তী কিছু অঙ্ক

কোভিডের নিয়ম ঝেরে ফেলে ত্রিপুরার স্টেট গেস্ট হাউজ দখলে নিয়েছে শাসক বিজেপি’র বিধায়ক-কর্মীরা।

গেস্ট হাউজে গিজগিজ করছেন তারা। করিডর, ফ্লোর, ঝুল বারান্দা, সব জায়গায়।

বিজেপি’র ত্রিপুরা প্রভারী বিনোদ সোনকর এখন স্টেট গেস্ট হাউজ সোনার তরী-এ  আছেন।

 

গত সন্ধ্যায় তাকে দল সম্বর্ধনা দেয়,  সেখানে বিজেপি’র  বিক্ষুব্ধ ( যাদের এখন ‘সংস্কারপন্থী’ বলা হচ্ছে) বিধায়করা ছিলেন না।

 আজ সোনকরের সাথে দেখা করতে গেছেন তারা। 

আগরতলায় হাইকোর্ট, মহাকরণ, এয়ার পোর্ট যাওয়ার রাস্তায় এই গেস্ট হাউজটি, সেই রাস্তাকে ‘সংস্কারপন্থী’দের ভিড় মুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খেয়েছে।

 

দিল্লি থেকে  সোনকরকে ঠিক করা হয়েছে ত্রিপুরা’র প্রদেশ বিজেপিকে দেখভাল করতে।

এই প্রভারী দিল্লি-রাজ্য সংগঠনে সমন্বয় রাখেন।

 

আগের প্রভারী  সুনীল দেওধর অবশ্য দিন-রাত ত্রিপুরায় পড়ে ছিলেন। বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরই থাকবেন, প্রতিশ্রুতি পালন হচ্ছে কিনা,  তা দেখতে।  বিজপি মন্ত্রীসভা গঠনের পরেই সুনীল ধীরে ধীরে ত্রিপুরা ছেড়ে দেন, আর এখন তো পাকাপাকিই ত্রিপুরার দায়িত্বে নেই।

বিজেপি’র নেতা রাম মাধব ত্রিপুরার সংযোগ ঠিক রাখতেন, এখন রাম মাধব দলের জতীয় পদে নেই।

রাম মাধব,  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে প্রচার আছে।

 

‘সংস্কারপন্থী’ বিধায়ক কয়েকজন দুর্গাপূজার আগে দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়ে  ছিলেন বেশ কয়েকদিন। বিজেপি’র জাতীয় নেতৃত্বের কানে কথা দিয়ে এসেছিলেন।

তারপর কিছুদিন নাড়াচাড়া আর বিশেষ নেই তাদের। বাতাসে ‘ম্যানেজ’,  ‘ম্যানেজ’ শব্দও আছে।

COMMENTS