ঘুষ মামলায় আগরতলায় থাকা উত্তর-পূর্ব রেল’র ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিটিভ ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল’র ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় আগরতলায় থাকা ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার হেম চন্দ্র বোরা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিটিভ ইঞ্জিনিয়ার লক্ষীকান্ত বর্মা-কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
গুয়াহাটি থেকে চিফ এডমিনস্ট্রেটিভ অফিসার মহিন্দার সিং চৌহানকে গ্রেফতার  করা হয়েছিল গতকাল। তার জেরেই বোরা এবং বর্মা গ্রফেতার হয়েছেন। মোট পাঁচজনকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

নির্মাণ কাজের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক হেম চন্দ্র বোরা একটি কাজের বরাত পাইয়ে দেয়ার জন্য একটি সংস্থার কাছে এক কোটি টাকা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

চৌহান’র মেয়ের জামাই ইন্দ্র সিং-কে দেরাদুন থেকে  গ্রেফতার করা হয়েছে গতকালই।
এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে একটি কোম্পানি এই ঘুষ কান্ডে অভিযুক্ত।
১৬ জানুয়ারি নগদে এক কোটি টাকা দিল্লিতে এবিসিআই ‘র ডিরেক্টর পবন বৈদ’র কর্মচারি ভূপেন্দ্র রাওয়াত হাতে পান,  সেই টাকা নিয়ে গতকাল দেরাদুনে যান  চৌহান’র মেয়ের জামাইকে দিতে। সেখান থেকে রাওয়াত এবং ইন্দ্র সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পবন বৈদ’র জন্য তল্লাশি চলছে।
রাওয়াতকে নগদে দিল্লিতে টাকা পৌঁছে দিয়েছে এক হাওলা কম্পানি, তাদেরও খোঁজা হচ্ছে।

সিবিআই এখন পর্যন্ত দুই কোটি ঊনচল্লিশ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে বলে খবর। হেম চন্দ্র বোরার কাছে পাওয়া গেছে সাড়ে আঠারো লাখ টাকা, লক্ষীকান্ত বর্মা’র কাছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা।

সিবিআই’র এক মুখপাত্র বলেছেন যে ইদানিং কালে এটাই সবচেয়ে বড় ঘুষ মামলা। গুয়াহাটি থেকে ষাট লাখ এবং দেরাদুন থেকে ৫৪ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে গতকাল। তাছাড়া গয়না, সম্পত্তি’র কাগজও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সারা দেশে এক সাথে ২৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। ত্রিপুরা, আসাম, উত্তরাখন্ড, দিল্লি, পশ্চিম বঙ্গ’র নানা জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে কাজের বরাত পাইয়ে দেয়া, বিল পাশ করিয়ে দেয়া, ইত্যাদির জন্য চৌহান এক কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
সিবিআই খবর পেয়ে ওত পেতে ছিল, দেরাদুনে চৌহান’র মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে টাকা দিয়ে আসার পরেই রাওয়াতকে পাকড়াও করে সিবিআই। তাকে জেরা করেই একে একে সাবাইকে ধরা হয়েছে।

COMMENTS