শুরু হয়ে গেল আগরতলা বইমেলা। ঊনচল্লিশতম। ১৯৮১ সালে তখনকার মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী’র হাত ধরে শুরু হয়েছিল। সরকার দশ শতাংশ ভর্তুকি দিত বইয়ে। সেটা অনেক বছর চলে। প্রকাশক দিতেন দশ শতাংশ ছাড়, যে কিনতেন তাকে সরকার বইয়ের দামের দশ শতাংশ ফিরিয়ে দিত।
আগরতলা বইমেলার কারণেই মূলত ত্রিপুরায় এখন প্রচুর প্রকাশক। অনেক প্রকাশক দাঁড়িয়ে গেছেন ভালভাবে। তুলনায় ছোট জাতি গোষ্ঠীর ভাষা ককবরক, ত্রিপুরার সরকারি ভাষা। বহু শতক ধরে এই জাতি গোষ্ঠী ত্রিপুরায় থাকলেও, ১৯৭৯ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে, এই ভাষা সরকারি ভাষা হয়ে উঠে। সেই ভাষায়ও অনেক বই হচ্ছে।
সরকার স্থানীয় প্রকাশকদের বই প্রচুর কিনে রাজ্যের লাইব্রেরিগুলিতে দিত।গ্রামের স্কুল, পঞ্চায়েত স্তরে সরকারি লাইব্রেরি ছড়িয়ে পড়ে। আর মহকুমা লাইব্রেরি কিংবা রাজ্যের লাইব্রেরি তো ছিলই।
ত্রিপুরার বাইরের প্রকাশকরা আসেন, আসেন বাংলাদেশের প্রকাশকরাও।
বইমেলাকে কেন্দ্র করেই নতুন লেখকদের বই বের হচ্ছে প্রতি বছর। আর পুরানো লেখকরা তো আছেনই।
আগরতলার ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার গ্রাউন্ড-এ বই মেলা হচ্ছে। কোভিড সময়ে ধীরে ধীরে স্কুল-কলেজ খুলেছে। বইমেলাও হচ্ছে। বইমেলায় কোভিড বিষয়ের নিয়ম মানার বালাই চোখে পড়ল না। মন্ত্রী-নেতা থেকে সাধারণ মানুষ, কম মানুষই অন্তত মুখে মাস্কটি রেখেছিলেন আজ।
ভ্যাকসিন পাচ্ছেন এখন নির্ধারিত পেশার কিছু মানুষ। ফোন তুললেই এখনও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, মাস্ক পরতে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে।
ত্রিপুরায় মাস্ক পরা ঠিকমত হচ্ছে না, কোভিড’র কঠিন সময়ে কন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল বলেছিল। প্রচুর ফাইন করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
মেলা যেখানে হচ্ছে, তার একটি কাছের হাসপাতালেই সম্প্রতি বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। দেশের কোনও কোনও রাজ্যে নতুন করে স্পাইকও দেখা দিয়েছে।
COMMENTS