বাংলাদেশ থেকে ভালবাসার টানে মেয়েটি চলে এসেছেন ভারতে। হয়ত তিনি পাসপোর্ট করে আসেননি, তবে কাঁটাতারও তাকে আটকাতে পারেনি। আর এখন কোথায় আছেন, পুলিশ কিংবা গ্রাম প্রধান জানেন না।
ত্রিপুরার কলমচৌড়া থানার আশাবাড়ি গ্রামের ঘটনা।
আশাবাড়ির এক ছেলে থাকতেন দুবাইয়ে , মেয়েটিও সেখানে থাকতেন। ভালবাসা হয়। দুইজনেই বাড়ি ফিরে আসেন, একজন ভারতে, একজন বাংলাদেশে। দুইজন দুই ধর্ম অনুসারী।
মেয়েটি সিলেট থেকে চলে এসেছেন আশাবাড়িতে।
দুইজন গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন, রহিমপুর বাজারের কাছে আসতেই তাদের আটকান এলাকার লোকজন। শারীরিক হেনস্তাও করা হয়।
পুলিশ গিয়েছিল সেখানে ।
রহিমপুরের গ্রাম প্রধান আখতার হোসেন’র মধ্যস্থতায় ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।
মেয়েটিকে গ্রাম প্রধানই বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছনে বলে শোনা গেছে। তবে গ্রাম প্রধান আখতার হোসেন ফোনে বলেছেন মেয়েটির খবর তিনি জানেন না। কোথায় আছে জানেন না। তিনি খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কারও বাড়িতে থাকতে পারেন।
দুইজনের সর্বজনীনভাবে বিয়ে হয়নি। মেয়েটি, ছেলেটিকে ‘হাসব্যান্ড’ বলেই পরিচয় দিচ্ছিলেন। তিনি বলেছেন, ছেলেটি ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তার কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সাও ছেলেটি রাখেননি। বছরখানেক ধরে তাদের ভালবাসা।
কলমচৌড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বি দেব্বর্মা ফোনে বলেছেন, তারা রহিমপুর বাজারে গিয়েছিলেন, কিন্তু তারা কাউকে পাননি। মেয়েটি কোথায় আছে, তার জানা নেই। বাংলাদেশেই আবার ফেরত চলে যেতে পারেন, নাও যেতে পারেন। তবে মেয়েটির সাথে যে ছেলেটির ‘অ্যাফেয়ার’ ছিল বলে জানতে পেরেছেন তিনি।
COMMENTS