মাধ্যমিক পরীক্ষায় ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ’র দেয়া নম্বরে সন্তুষ্ট নয় ছাত্র। পর্ষদকে যেন নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়, সেই নিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক ছাত্রের বাবা ।
হাইকোর্ট পর্ষদের খাতা দেখা, ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় দোষ পায়নি। আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।
ছাত্রটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাঁচশ নম্বরে চারশ আটান্ন নম্বর পেয়েছিলেন। খাতা আবার মূল্যায়নের জন্য তিনি পর্ষদের কাছে আবেদন করেন, নম্বর বেড়ে হয় চারশ ষাষষ্টি। তাতেও ছাত্রটি মনে করেন যে তার আরও নম্বর বাড়তে পারত। উত্তরপত্র নিজে দেখার জন্য তিনি আবেদন করেন। তার পছন্দের একজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে তিনি খাতা দেখেন। তার হিসেব মত ২১ নম্বর বাড়তে পারে বাংলা, বিজ্ঞান এবং সমাজবিদ্যা মিলিয়ে। পর্ষদ আরও তিন নম্বর বাড়িয়ে দেয়।
পর্ষদকে বিষয়টি আবার দেখতে বলেন ছাত্রের বাবা। ২১ নম্বর বাড়িয়ে দিতে আবেদন রাখেন। পর্ষদ এবার জানিয়ে দেয়, আর কিছু করা যাবে না।
তারপরেই আদালতের কাছে আসেন বাবা।
সবকিছু দেখে আদালত মনে করেছে,পর্ষদের কাছে কোনও ত্রুটি নেই। আদালত বলেছে, এখানে আদালতের ভূমিকা খুব সীমিত। তাছাড়া, যদি না ব্যাপক ত্রুটি দেখা যেত , বেআইনি কিছু থাকে, তবে আদালতের এই ব্যাপারে বলার কিছু নেই। পর্ষদ যে প্রক্রিয়া নিয়েছে, আদালত মনে করেছে, সেটি যান্ত্রিক নয়।
যত নম্বর বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল, তা হলে, ছাত্রটি পরীক্ষায় প্রথম হতে পারতেন।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কুরেশির বেঞ্চে ছিল মামলাটি।
COMMENTS