রাবণ , আমাদের চোখে যিনি ভিলেন, তিনিও শিল্পী ছিলেন। তার লেখা স্তোত্র এখনও চলছে। বলছিলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন, ত্রিপুরা গভর্মেন্ট আর্ট এন্ড ক্রাফট্ কলেজের এক্সিবিসনে। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথায় রাবণের কথা এনেছেন। ব্যাতিক্রমী। ব্যাতিক্রমী, কারণ এখন একমুখী সংস্কৃতি ছড়ানোর তোরজোর এদিক-সেদিকে, নানা জায়গায় । অমুক ভাষার না হলে, তমুক দেশদ্রোহী, এমন কথাও শোনা যায়।
উপমুখ্যমন্ত্রীর নিজের পরিবারও শিল্পীর। তিনি যে আকঁতে জানেন, নিজেই বলেছেন, তবে তিনি নিজেকে শিল্পী বলতে চান না, বলেছেন সেটাও।তার মা-র কাপড়ের নক্শা বিখ্যাত। গুণী শিল্পী ছিলেন।
আঁকতে জানলেই শিল্পী না, সাইনবোর্ড আঁকিয়েরাও এঁকে দেন অমিতাভ বচ্চন……… বলেছেন তিনি।
তবে কিনা, সিনেমার পোস্টার আঁকতে আঁকতেই মকবুল ফিদা হুসেন হয়ে গিয়েছিলেন।
একমুখী উগ্রতার ধাক্কায় এই বিখ্যাত শিল্পীকেও দেশ ছেড়ে, কাতারে গিয়ে মরতে হয়, নিজের দেশ ছাড়া হয়ে।
কলেজে এক্সিবিসন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
COMMENTS