দ্বিতীয় দিন ধর্নার। চাকরির নিশ্চয়তা খুঁজছেন শিক্ষকরা। রাজধানী আগরতলায় রাস্তায় তারা।
ত্রিপুরায় ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-আইপিএফটি সরকারকে দু’বছর আগে ভোটের সময়ে তাদের চাকরি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে বিজেপি নেতাদের নাম ধরে ধরে বলেছেন তারা। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দিন কয়েক আগে বলেছেন( একটি ক্যাবল টিভিকে) , তারা তেমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি।
যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বেশ কয়েকমাস আগে বলেছিলেন, তারা ‘অযোগ্য’ । শিক্ষামন্ত্রীর ‘যোগ্যতা’ নিয়েই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রীর যোগ্যতা কী ! মুখ্যমন্ত্রীর কী ! নিজেদের ক্ষেত্রে বলেছেন, ছাত্ররাই বলে দেবে, তারা যোগ্য কিনা !
বিজেপি বিধায়ক, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনকেও তারা জিজ্ঞাসা করছেন, ” প্রতিশ্রুতির কথা। ভোটের সময় ‘ ভোট ব্যাঙ্ক ‘ হিসেবে তারা ব্যবহৃত কিনা জানতে চেয়েছেন। যে কথা দেয়া হয়েছিল, তা রাখতে না পারলে, অন্তত তারা মরতে যেন পারেন, আর্জি দিয়েছেন।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি , বিশিষ্ট আইনজীবী পিযূষ কান্তি বিশ্বাস, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া প্রতিশ্রুতি, তা পালন না করা, তাতে মিডিয়ার সহযোগী হয়ে পড়া, সুপাররিচদের শুধু স্বার্থ রক্ষা করা, মানুষ ঠকেছেন, ইত্যাদি কথা বলেছেন ধর্নার জায়গায়।
তাদের পাশে কোনও রাজনৈতিক, মানবাধিকার সংগঠন, কর্মচারী সংগঠন কেউ দাঁড়ায়নি, তারা আবেদনও করেছিলেন, ভোরবেলার দ্য প্লুরাল কলাম-কে বলে ছিলেন শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ পাল।
সরকারি কোনও প্রতিনিধিই তাদের খোঁজ নিতে আসেননি । দু’দিনের অবস্থান এখন ‘অনির্দিষ্ট’ সময় হয়েছে। ‘আমরা চিন্তায় থাকলে,ওদেরও চিন্তায় ফেলে দেব’, বলেছেন তাদের প্রধানমুখ বিমল সাহা।
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেছেন কয়েকদিন আগে, আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে, তাদের ক্ষুধা আছে, কাউকে না করা যাবে না। ‘বিকল্প ব্যবস্থা হবেই’ তিনি বলে রেখেছেন।
আরওঃচাকরির জন্য রাস্তায় রাত জাগলেন শিক্ষকরা, ১০৩২৩ ধর্নার দ্বিতীয় দিন