ত্রিপুরাতে নতুন আক্রান্ত নেই। চিকিৎসায় থাকা মহিলার স্বামী, ভাই–তারা সবারই ‘নেগেটিভ’ ফল। নার্সদের বিক্ষোভ ‘ফলস প্রপাগান্ডা’।

ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত আর কোনও কোভিড-ওয়ান নাইন আক্রান্ত কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। যে একজন আক্রান্ত হয়েছেন, তার অবস্থা ভাল আছে। তার সংক্রমণ মৃদু। তিনি ভাল হয়ে যাবেন বলেই চিকিৎসকরা মনে করেছেন। তার খুব কাছাকাছি যারা ছিলেন, সেরকম যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাদের কেউই আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েনি। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তার নমুনা প্রতি আটচল্লিশ ঘন্টায় একবার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পর পর এরকম দু’টো পরীক্ষায় যদি ভাইরাসটি পাওয়া না যায়, তবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।

তিনি ত্রিপুরা সুন্দরী হাসপাতালে তিনবার গিয়েছেন একই রকম লক্ষণ নিয়ে। কোনও ডাক্তার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। তার আউট পেসেণ্ট ডোরের চিকিৎসার নথি স্বাস্থ্য কতৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

আগরতলায় আইজিএম হাসপাতালে আরেকটি কোভিড-ওয়ান নাইন আইসোলেসন  কেন্দ্র এবং হাসপাতাল  খোলা হচ্ছে।

উল্লেখ করা যায়, মঙ্গলবারে  সাংবাদিকরা শুধু কোভিড-ওয়ান নাইন হাসপাতাল খোলার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তখন স্বাস্থ্য সচিব ডঃদেবাশিস বসু বলেছিলেন, যে হাসপাতালে সার্জারি,পালমোনারি ট্রিট্মেন্ট,ডায়ালিসিস, ইত্যাদি মাল্টি ডিস্প্লিনারি ব্যবস্থা আছে, সেখানেই এরকম হাসপাতাল খোলা যায়। তাছাড়াও বলেছিলেন,কোভিড-ওয়ান নাইন সংক্রমণ শেষ হয়ে গেলে কী হবে, সেটাপ পড়ে থাকবে নাকি ! আইজিএম হাসপাতালে আইসোলেসন ওয়ার্ডে ৩৭ বেডের হচ্ছে, সেখানে থেকে সিম্পট্ম দেখা দিলে তাকে নিয়ে আসা হবে।  জিবিপি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র করায় এখন এই হাসপাতালের আইসিইউ’র ক্ষমতা বেড়ে যাবে। তিনি  ৪ এপ্রিল বলেছিলেন, ভেন্টিলেটর,ইত্যাদিসহ ১০০ বেডের একটি আইসিইউ খোলা হচ্ছে। আবার সেদিনই  নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৩০ বেডের আইসোলেসন ওয়ার্ড্ খোলার কথা বলেছিলেন, সেখানেও ভেন্টিলেটর থাকবে বলেছিলেন, সেটা তিন/চার দিনের মধ্যে চালু হবে, বলেছিলেন।

 

শুধু আইজিএম হাসপাতাল নয়, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ এবং আইএলএস হাসপাতালকেও আইসিইউ এবং আইসোলেসন ওয়ার্ড তৈরি রাখতে বলা হয়েছে, সেগুলিও কাজে লাগতে পারে।

কম্যুনিটি ট্রান্সমিসন আছে কিনা, সেটা দেখার জন্য জেলায় পরীক্ষা চালানো হবে। চাকরি না পাওয়া নার্স-ডাক্তারদের এই পরিস্থিতিতে  একটা সম্মানী দিয়ে কাজে লাগানো হতে পারে।

জিবিপি হাসপাতালের কোভিড আইসোলেসন ওয়ার্ডে কোনও খামতি রয়ে গেছে কিনা, সেটা তদন্ত করে  বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে হবে। আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ এইসব তথ্য দিয়েছেন।

হাসপাতালে নিরাপত্তা উপকরণ চেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভকে ‘ফলস প্রপাগান্ডা’ বলেছেন, এবং সরকার তা ‘বরদাস্ত’ করবে না।

ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নার্সরা  বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছিলেন, তাদের উপকরণ নেই। একজন ডাক্তারও তাদের সাথে সহমতে ছিলেন। মেডিক্যাল সুপারও বলেছিলেন, তিনি খোলা বাজার থেকেও কিনতে চেষ্টা করেছেন, পাননি। নিজের মুখে বাঁধা সাধারণ মাস্ক দেখিয়ে ক্যামেরার সামনেই বলেছিলেন, উনারও নেই ।  জিবিপি হাসপাতালের নার্সরা বলেছেন,তারা স্যানিটাইজার, গ্লাবস, সাবান, ইত্যাদি পাচ্ছেন না। মেডিক্যাল সুপারের সাথে দেখা করতে চেয়েও , তারা কথা বলতে পারেননি।

 

একটি মিথ্যা খবরকে সামনে রেখে আইনমন্ত্রী বলেছেন, সংবাদ মাধ্যম বা অন্যকেউ যেন মিথ্যা খবর না দেয়। কতৃপক্ষ থেকে তথ্য নিয়ে খবর করতে। মিথ্যা খবর করার দায়ে এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আগেও একজন হয়েছিলেন। দু’জনেই কোভিড-ওয়ান নাই আক্রান্ত পাওয়া গেছে বলে ভুল খবর দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।

 

সুলভ কর্মীদের গ্লাবস,মাস্ক দেয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন মন্ত্রী। নার্সদেরও। ডিস্ট্রিবিউসনে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি সাংবাদিকদের কথায় মত দিয়েছেন।

 

কোভিড-ওয়ান নাইন পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডাঃ তপন মজুমদার বলেছেন, কীভাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়, কী তার গাইডলাইন,ইত্যাদি।

 

স্বাস্থ্য সচিব ডঃদেবাশিস বসু বলছিলেন,সুলভ কর্মীদের মাস্ক দেবে প্রিন্সিপাল এমপ্লয়ার, “মেইনলি মাস্ক-টাস্কটা খুব ইস্যু না, তারা  একটা হরিজন-টরিজন গ্রুপের যারা আছে, তারা আইসা ত এই কাজগুলি করে, এই সুলভের কাজগুলি, , যারা যেখানে আছে, সেখান থেইক্যা বাড়ির থেইক্যা বাইরৈতে একটু অসুবিদা হৈতাসে।”

সাংবাদিকরা বলেন, তাদের সত্যকার অর্থেই মাস্ক নেই। সিএম আসার পর সেদিন কেউ একজন তাকে এই কথাটি বলেছিলেন। সাংবাদিকরা আরও বলেন যে এই সময়ে ঠিকেদার মাস্ক দেবে না বলে, দফতরও সুলভ কর্মীকে মাস্ক-গ্লাবস দেবে না ! তারা একদিন কাজ না করলে জিবিপি হাসপাতালে জঞ্জালের পাহাড় জমে যায়।

( কথার মাঝে চারটি জায়গায় অডিও অফ করা হয়েছে, দুই জায়গায় আক্রান্তের নাম থাকায়, আর দুই জায়গায় ওয়েব পোর্টালের নাম, এই নিউজ করার আগেই ওয়েব পোর্টালটি সেই খবর তুলে নিয়েছে, তাই। পোর্টালটি খবরটি ভুল ছিল বলেও স্বীকার করেছে।)

COMMENTS