বাড়ি ফিরতে পারলেন না মুকুল!

মুকুল ধর’র  দেহ সোমবার রাতে তার  বাড়িতে এসেছে, কমলপুরে।  ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চিকিৎসা জন্য ছেলে নিয়ে গিয়েছিলেন  চেন্নাই। 
ত্রিপুরার ধলাই জেলার কমলপুরের ফুলছড়িতে থাকতেন।
লকডাউনে আটকে যান, অ্যাম্বুলেন্স  ভাড়া করে ত্রিপুরার দিকে রওয়ানা দিয়েছিলেন। 
রাস্তাতেই মারা গেছেন মুকুল। বয়স হয়েছিল ৬০।
রবিবারে  অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তে মারা যান।  দুদিন পর দেহ এল বাড়িতে।
ছেলে পুলিশ কর্মী।

চেন্নাইয়ে, ভেলোরে  চিকিৎসায় গিয়ে আটকে আছেন অনেকেই। চিকিৎসা শেষ, ফিরতে পারছেন না। আবার টাকাও ফুরিয়ে আসছে, আরও কতদিন থাকতে হবে,  সেই চিন্তা করে কেউ কেউ অন্যদের সাথে জুটিয়ে দেড়-দু’লাখ টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে এই দীর্ঘ পথ আসছেন। 
ত্রিপুরায় রবিবারেও অ্যাম্বুলেন্সে এরকম ফিরে আসার ঘটনা আছে। ত্রিপুরা থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যান।  চেন্নাই এবং ভেলোর,  এই জায়গাতেই বেশি। আর যান হায়দরাবাদে।
সরকারী সাহায্য না পাবার অভিযোগ আছে।
সিপাহীজলা জেলার জম্পুইজলার সমরেশ  দেববর্মা তার মা-কে নিয়ে ফিরেছেন অ্যাম্বুলেন্সে,  হোটেলে সরকারী সাহায্য পাননি বলেছেন।
উদয়পুরের চঞ্চল মজুমদার ফিরেছেন ১৯ এপ্রিল, তখনও তিনি সরকারী সাহায্য পাননি, যদিও ফর্ম, ইত্যাদি ফিলাপ করেছেন।
ভেলোর থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মানসী বিশ্বাস নামে একজন অভিযোগ করেছেন, ২৮ মার্চ থেকে যোগাযোগ করে করে ১৪ এপ্রিল তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট,  ইত্যাদি নেয়া হয় ফোনে। তিনি দিন কয়েক আগে পোস্ট দিয়ে বলেছেন টাকা তখনও পাননি।

COMMENTS