নেশা কারবারীরা এক পুলিশ কর্মীকে আহত করেছে,মামলা নিয়েছে পুলিশ

ত্রিপুরায় নেশা কারবারীদের আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামে আজ দুপুরে। আক্রান্ত পুলিশ কর্মী জি এম উদ্দিন গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত। বর্তমানে তিনি ধর্মনগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার পিঠে এবং পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ধর্মনগর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধরের নেত্রিত্বে পুলিশের একটি দল নেশা কারবারীদের ধরার জন্য ওৎ পেতে ছিলেন। তারা ছিলেন প্রেমতলা গৌরীপুর রাস্তায়।  পুলিশের কাছে খবর ছিল, নেশা সামগ্রী নিয়ে একটি দল ওই রাস্তা দিয়ে যাবে। সঙ্গে ছিল চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশও। গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত তিনজন কর্মী একটি সামনে ছিলেন।  চার/পাঁচ জনের নেশা কারবারীদের একটি দলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মী। গোয়েন্দা পুলিশের কর্মীরা  তাদের কাছ থেকে দুটি ব্রাউন সুগারের প্যাকেট উদ্ধার করেন। তারপরই নেশা কারবারীরা তাদের  আক্রমণ করে। গোয়েন্দা পুলিশের সত্যেন্দ্র নাথ, মহেন্দ্র নাথ তাদের হাত থেকে ছুটে পালিয়ে গেলেও ওপর গোয়েন্দা পুলিশ কর্মী জি এম উদ্দিনকে প্রচন্ড মারপিট করে, ধারালো ছুরি দিয়ে  পেট ও পিঠে  আঘাত করে বলে অভিযোগ। তিনি প্রান বাঁচাতে চিৎকার করলে আশেপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। তখন দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান  পুলিশের বাকি লোকজন। জখম  পুলিশ কর্মীকে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে,  জানা গেছে পুলিশ সূত্রেই। 
খবর পেয়ে উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এফ ডার্লং বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া নেশা কারবারীদের পায়ের জুতোসহ অন্যান্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের মধ্যে তিন জনের একটি দল এসেছিল মারুতি এইট হান্ড্রেড গাড়ি দিয়ে। চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ একটি লাল রঙের  বাইক উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

COMMENTS