স্বাস্থ্যকর্মীদের সময়ে বেতন না দেয়ার তালিকায় ত্রিপুরা

স্বাস্থ্যকর্মীদের সময়ে  বেতন না দেয়ার তালিকায় ত্রিপুরা

সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতনা না দেয়ার তালিকায় রয়েছে ত্রিপুরা। কেন্দ্র শুক্রবারে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী কেন্দ্রের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর্মীদের দিল্লি, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র সময়ে বেতন দেয়নি। আইন অনুযায়ী টাকা না দিলে শক্ত জরিমানার ব্যবস্থা আছে।
বিচারপতি অশোক ভূষণ, এম আর সাহ, আর সুভাষ রেড্ডি’র বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলেছে, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের সময়ে বেতন  নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

উদয়পুরের ডাক্তার আরুষি জৈন কোভিড রোগীদের সেবায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কোয়ারান্টাইনে  থাকার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। তাতে যোগ দিয়েছে ইউনাইটেড রেসিডেন্টস এণ্ড ডকটর্স অ্যাসোসিয়েশন। এই অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের শুনানির হয়েছে আজ। 

ত্রিপুরাসহ বাকী রাজ্যগুলির নাম উঠে এসেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের সময়ে বেতন না দেয়ার জন্য।

ডাক্তাররা বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে থাকছেন, অথচ সেই সময়ে সরকার তাদের পাওনা দিচ্ছে না, বলেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কে ভি বিশ্বনাথন।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জবাবে বলেছেন, “তা বলা যায় না।”
১০ আগস্ট এই বিষয়ে আবার শুনানি হবে।

জুনের ১৭ তারিখ কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকারগুলির মুখ্যসচিবকে  নির্দেশ দিতে , ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দেয়ার নির্দেশ যেন বাস্তবায়িত হয়।
রাজ্যগুলি এই ব্যাপারে কী করেছে, আজ সেই বিষয়টিও ছিল।

আইনজীবী কে ভি বিশ্বনাথন আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দেয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলির গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জায়গার ব্যাপারে সরকারের গদাইলস্করি চালের কড়া সমালোচনা করেছে।

রাত সাড়ে এগারোটায় সংযোজনঃ ত্রিপুরা সরকার বিবৃতি দিয়ে বলেছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা সময়েই বেতন পেয়েছেন।ত্রিপুরা সরকার পরবর্তী তারিখের আগে আলাদা হলফনামা দেবে।

 

১ আগস্ট-সংযোজনঃ ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ’র একটি বিবৃতি এই সম্মন্ধে পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল ত্রিপুরা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা অসত্য, ভুল। যোগাযোগের ভুলে এটা হয়েছে।

“কোথাও একটা কম্যুনিকেসন গ্যাপের কারণে , মিস-গ্যাপিং মিস কম্যুনিকেসন’র কারণে এটা হয়েছে বলে আমি মনে করি ( এসআইসি),” বলেছেন তিনি।

সোমবাবের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ত্রিপুরা সরকার স্পষ্টিকরন জমা দেবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কী করা হচ্ছে, তার ফিরিস্তি দিয়েছেন রতন লাল নাথ।

 

ডক্টর্স ডে-তে ত্রিপুরার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র জিবিপি হাসপাতালে ইন্টার্ন ডাক্তাররা দু’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন, মেডিক্যাল সুপারের অফিস ঘেরাও করেছিলেন। ‘

COMMENTS