আদালত ১০৩২৩ শিক্ষকদের নিয়ে যে কোনও কিছু করুক না কেন, সরকার তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করবেই, বলেছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি বলেছেন, এই শিক্ষকদের ছোট্ট একটা অংশ আইন বারেবারে নিজের হাতে নিয়ে নিচ্ছে। তাদের জন্য কোনও ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে শিক্ষামন্ত্রী দায়ী থাকবেন না। তিনি সেই প্রসঙ্গে ষড়যন্ত্রের কথাও তুলেছেন। তবে ষড়যন্ত্রটা কী, সেটা জানা যায়নি।
এই শিক্ষকদের একটি অংশের রক্তদান শিবিরে কথা বলছিলেন তিনি।
রাজ্য সরকার এই শিক্ষকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে দিয়ে, তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুদিন আগে ঘোষণা দেয় যে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে সুপ্রিমকোর্টের ‘অনুমতি চাওয়া হবে। তখন গ্রুপ-সি এবং ডি, এই দুই রকমের কিছু শূন্য পদের কথা বলেছিলেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য,ত্রিপুরায় শিক্ষক পদ মাত্রেই গ্রুপ-সি।
রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে এসএলপি দাখিল হয়েছে।
আজ নতুন কথা শোনা গেল, সুপ্রিমকোর্ট যাই করুক, রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করবে। প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে তাহলে আর যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল !
৩১ মার্চ শিক্ষকদের চাকরি গেছে, প্রায় তিনমাস হয়ে এল, তারা চাকরিহীন।
সুপ্রিমকোর্টে শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে একটি শুনানি গেছে সম্প্রতি। সেখানে ‘সাম অব দেম’র বিকল্প ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সর্বোচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে তারা কী করতে চায়, তা জানাতে বলেছে।
চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন অন্তত শিক্ষকদের দু’টো সংগঠন । তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, মামলা দিয়েছে। শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ডেপুটেসন দিতে গিয়েও মামলায় জড়িয়েছেন কেউ। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই জামিন পেয়েছেন তারা। কোথাও আগাম জামিন, কোথাও সাধারণ জামিন।
COMMENTS