বাড়িতে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েই চলেছে ত্রিপুরায়।
আগরতলায় একরাতে শহরের দুই মাথায় দুই জনের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে।
একটি ছাঁটাই হওয়া ‘১০৩২৩’ শিক্ষকের বাড়ি। আরেকটি আমতলি থানার সুকান্তপল্লিতে এক আরএসএস কর্মীর বাড়ি। যখন বাড়ির সবাই ঘুমে, তখন বোতল ছুঁড়ে ঘরের কাঁচ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ ‘দশ মিনিট’-র মধ্যেই পৌঁছে গেছে বলে আক্রান্ত বাড়ির নবজ্যোতি ঘোষ বলেছেন।
তিনি বলেছেন, সবাইকে ভালবাসার কথাই তিনি বলেন। তার সাথে এমন হওয়ার কথা ছিল না। ঘটনা নিন্দনীয়। তার আক্ষেপ, “হয়ত আমারই পরিচালনায় ভুল আছে!”
গত সপ্তাহে আগরতলায় মিলনচক্র এলাকায় ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি’র প্রাক্তন মুখপাত্র প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হওয়ার ঠিক আগের দিন তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিআই(এম) তাদের কর্মী-সমর্থকরা শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বার বারই অভিযোগ আনছেন। তাদের গণসংগঠনগুলির ডাকে হওয়া রক্তদান শিবিরও আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাদের দলীয় অফিস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আছে।
বিরোধী সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস কোভিড ওয়ান নাইন পরিস্থিতিতে ত্রাণ দিতে গিয়েও আক্রমণের মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
সম্প্রতি শাসক বিজেপি’র নেতা-কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। টাকারজলায় হয়েছে। অভিযোগের তীর শরিক আইপিএফটি’র দিকে। ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর দফতর খুমুলুঙে দুই শরিকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একদিন ঝামেলা হয়েছে। যেদিন এই ঝামেলা হয়েছে, তার আগের দিন খুমুলুঙেই উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বিজেপি’র একটি বন্ধ অফিস আগুনে পুড়েছে।
বিজেপি সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা একটি সভায় বলেছেন, বিজেপি বড়ভাইয়ের ভূমিকা পালন করছে। তিনি এটাও বলেছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি’র ৩৬ জন বিধায়ক আছেন, কারও সাহায্য ছাড়াই পাঁচ বছর সরকার চালাতে পারবেন তারা।
COMMENTS