আইপিএফটি’র বনধ চলছে। আক্রান্ত বিরোধী দলের অফিস। এডিসি নির্বাচনের আগে শক্তি দেখানো?

ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি’র শরিক আঞ্চলিক দল আইপিএফটি’র ডাকা বনধ সকাল থেকে শুরু হয়েছে উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে থেকে এলাকায়।
বনধে মিশ্র সাড়া।
জেলা পরিষদ’র সদর দফতর খুমুলুঙে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে।
রাজধানী আগরতলা থেকে ট্রেন ছাড়েনি, চন্দ্রপুর বাস টার্মিনাসও ফাঁকা।

কোনও কোনও জায়গা থেকে হুজ্জতি’র খবরও পাওয়া গেছে। গোমতী জেলার গর্জিতে একটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আছে।
গণ্ডাছড়া বাজারে সামান্য কিছু দোকান খুললেও, মানুষজন ছিলেন না।
আবার কাঞ্চনপুরে বনধের তেমন কোনও সাড়া নেই।

বিশ্রামগঞ্জের কাছে নয়টা- দশটা থেকে পুলিস, রাস্তা বন্ধ বলে সব গাড়ি ফিরিয়ে দেয়।

পশ্চিম ত্রিপুরার এসরাই এলাকায় বিরোধী সিপিআই(এম) অফিস ভাঙচুর করে, লুটপাট করার অভিযোগ আছে।

আইপিএফটি’র যুবনেতা শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া দাবি করেছেন, বনধ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে। এডিসি এলাকার মানুষ জন বনধের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। কোথাও কোন অশান্তির খবর নেই। পুলিস ও প্রশসন সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

বিরোধী দলগুলির কোনও রাজনৈতিক কাজ যেমন পুলিশ আটকে দেয়, যেমন ধর্ষনের প্রতিবাদ জানিয়ে করা মিছিলও আটকে দিয়েছে, খুমুলুঙে টায়ার জ্বললেও, তেমন কোনও পুলিশি তৎপরতা ছিল না।

আইপিএফটি ২০১৮ সালে বিজেপি’র সাথে জোট বেঁধে বিধানসভা নির্বাচন লড়েছিল আলাদা রাজ্য তিপ্রাল্যাণ্ড’র দাবি সামনে রেখে।
বিজেপি এই বনধের বিরোধিতা করে বলেছে, তারা বনধের রাজনীতির বিরোধী। বিজেপি’র প্রশ্ন, আইপিএফটি’র মন্ত্রী আছেন সরকারে, তাহলে এই বনধ কাদের বিরুদ্ধে।

জোটে যাওয়ার আগে চম্পকনগরে আইপিএফটি লাগাতর রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল আলাদা রাজ্যের দাবিতে। কেউ কেউ কাপড় খুলেও দাবি রেখেছিলেন। তখন বিজেপি তখনকার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল দিনভর, কেন রাস্তা থেকে আইপিএফটিকে তুলে দেয়া হচ্ছে না, এই দাবিতে।

যদিও তারপরে এই দুইয়ের জোট হয়।

বিজেপি, তিপ্রাল্যাণ্ড’র পক্ষে নয় বলেছে। আবার আইপিএফটি’র প্রধান দাবি এটাই।

বিধানসভা নির্বাচনের পর আইপিএফটি-বিজেপি আর জোট হয়নি লোকসভাসহ অন্য কোনও ভোটে।
উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন কয়েকদিন আগে বলেছেন, ২০০০ সালেও আইপিএফটি একবার এডিসিতে( জেলা পরিষদ) ক্ষমতায় আসার এসেছিল, নাচা-গায়া-খায়া-চলা-গয়া। পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তারা একাই সরকার চালাতে পারবেন, সেই সংখ্যার বিধায়ক তাদের আছে।
বিজেপি-আইপিএফটি সংঘর্ষ গত কিছুদিনে বহুবার হয়েছে। খুমুলুঙের রাস্তায় শো-ডাউনও হয়েছে।

কিন্তু সরকারে বিজেপি, আইপিএফটি আছে, সাথেই আছে।

জেলা পরিষদ ভোট কোভিড’র কারণে বন্ধ আছে। নির্বাচনের আগে তিপ্রাল্যাণ্ড’র দাবিতে বনধ, ভোটারদের সামনে শক্তির মহড়া, মনে করে বিরোধী বামফ্রন্ট।

COMMENTS