ত্রিপুরায় স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে সোমবার থেকে।
প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হবে। তাঁদের আপত্তি না থাকলেই স্কুলে আসা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী ৫ অক্টোবর থেকে স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কয়েকদিন আগেই ।
তবে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এই করোনা প্রেক্ষাপটে। প্রতিদিন শুধু ৫০ শতাংশ শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রক প্রত্যেক রাজ্যকে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় খোলার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে ত্রিপুরায় তা করা হয়নি ইচ্ছাকৃতভাবেই। কারণ রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যে আরও কয়েকটা দিন সময় নিতে চায়। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ৫ অক্টোবর থেকে স্কুলগুলি আবার চালু হবে, তবে এক্ষেত্রে সব শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারটি অভিভাবকের উপর নির্ভর করছে।
করোনা পরিস্থিতির জন্যে ত্রিপুরার স্কুলগুলো গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাত মাস পর রাজ্যে স্কুল শুরু হয়েছে।
নেবারহুড ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, দশদিনও চলেনি।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং সিপিআইএম বিধায়ক তপন চক্রবর্তী রাজ্যের এই সিধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, বিদ্যালয় চালু করার সময় এখন আসেনি। কারণ কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে দিনে দিনে।তিনি বলেছেন, সরকার যা করছে তাতে মানুষ হাসাহাসি করছে।
এনএসইউআই’র ত্রিপুরা সভাপতি সম্রাট রায়ও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন।”আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে এই নিয়ম প্রত্যাহার না করলে, রাজ্যেব্যাপী ছাত্রসুরক্ষা আন্দোলন সংগঠিত করা হবে,” বলেছেন তিনি।
COMMENTS