ত্রিপুরা হাইকোর্টের করোনা বিষয়ে জনস্বার্থ মামলাঃ প্রথমদিকের পিপিই কিট,ইত্যাদি কেনার সময় অতিরিক্ত দাম চাওয়া হয়েছিল, ত্রুটিযুক্ত ছিল সেসব।

ত্রিপুরা হাইকোর্টের করোনা বিষয়ে জনস্বার্থ মামলাঃ প্রথমদিকের পিপিই কিট,ইত্যাদি কেনার সময় অতিরিক্ত দাম চাওয়া হয়েছিল, ত্রুটিযুক্ত ছিল সেসব।

ত্রিপুরা হাইকোর্টে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই আদালতের স্বপ্রণোদিত জনস্বার্থ আবেদনের শুনানি চলছে। গতমাসে এই আবেদন নেয়া হয়েছে।

আদালত আগের শুনানির দিনগুলিতে সরকারকে বিভিন্ন বিষয় হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল।কিছু পরামর্শও।  আজও আরও কিছু বিষয় জানাতে বলেছে।

আবার এই মামলার শুনানি ১৩ অক্টোবরে হবে।

 

প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা থেকে মানুষের মাস্ক-পরার বিষয়, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্ট, নানা দিকেই আলোচনা হয়েছে।

 

হোম আইসোলেসনে থাকাদের  টাকা দেয়ার কথাও এসেছে।  মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, হোম আইসোলেসনে থাকাদের পনেরশ টাকা  দেয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

“ শুনানিতে এই বিষয়টি আদালতের সামনে রাখা হয়েছিল। ঘোষণা থাকলেও কেউ সেই টাকা পাননি, বলা হয়েছে আদালতকে।  অ্যাডভোকেট জেনারেল জবাবে জানিয়েছেন,  এমন সরকারি নির্দেশ কিছু নেই,” বলেছেন আইনজীবী শমিক দেব। তিনি এই মামলায় অ্যামিরাস কিউরি বা আদালত বান্ধব হিসেবে আছেন।

 

ত্রিপুরা হাইকোর্ট আজ যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে এক জায়গায় বলা হয়েছে, “…… নথিতে দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম দিকে সরকারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে  পিপিই কিট, মাস, ইত্যাদি চিকিৎসা সামগ্রী কিনতে । আভ্যন্তরীন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমটিগুলির রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, এসব সরবরাহ করতে এজেন্সি শুধু অতিরিক্ত দামই চায়নি, যে জিনিস সরবরাহ করা হয়েছে, সেগুলি ক্রটিযুক্ত। আমাদের জিজ্ঞাসা, এইসব ত্রুটিযুক্ত জিনিসগুলির কী করা হয়েছে।“

আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছেন, “করোনা ভাইরাস বিষয়ে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং রোগীদের  ব্যবহারের জন্য সেগুলি দেয়া হচ্ছে না।“

আদালত পরবর্তী হলফনামায় এইসব ব্যাপারে বিস্তৃত জানাতে বলেছে।

 

বিমান যাত্রীদের প্রত্যেকের এখন আর পরীক্ষা হচ্ছে না, ফলে প্রতিদিনের পরীক্ষা-সংখ্যা কমেছে, সরকার আদালতকে জানিয়েছে। সেই বিষয় ধরেই আদালত বলেছে, “ যদি, অতি সম্প্রতি প্রতিদিন মোট যত পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন, তার সাথে পরীক্ষা কমে আসার  বিষয়টিকে মিলানো হয়, তবে রাজ্যের মানুষের কোনও মিথ্যা ধারনা হওয়া উচিৎ না যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে দারুণ উন্নতি হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আবার শুরু করা যেতে পারে। সেটা মারাত্মক ভুল হয়ে যাবে, মারাত্মক পরিনতি হতে পারে।“

 

কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল ত্রিপুরার হাসপাতাল, প্রভৃতি  দেখে  সরকারকে একটি রিপোর্ট দিয়েছে। সেখানে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সেসব পরামর্শ নিয়ে সরকার কতটা কী করেছে, সেসব জানাতে বলা হয়েছিল সরকারকে।  ভেন্টিলেটর, সিটি স্ক্যান মেশিন অচল,কিংবা বসানো হয়নি, ইত্যাদিও ছিল রিপোর্টে।

সেসব পরামর্শ মানার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে।

 

আদালত আগেও সরকারের কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চেয়েছিল, আজও আরও  কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছে, সেসব হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ‘

অক্টোবরের ১৩ তারিখ মামলাটি আবার শুনানির জন্য আসবে।

COMMENTS