লোকমুখে অভিযোগ পেয়ে ত্রিপুরার শিশু অধিকার রক্ষা কমিসন’র চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ গিয়েছিলেন চড়িলামের জীতেন্দ্র সরকার’র বাড়িতে, গতকাল।
“ আমার এত বছরের জীবনে এমন দেখিনি! ছোট্ট একটা ঘর, কোনওরকমে একটা শোয়ার জায়গা, উঠে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। সেখানেই ফেলে রাখা হয় পঁচিশ বছরের অন্যভাবে সক্ষম সন্তানকে। ছোট বেলায় মা মারা গেছেন, বাবার দ্বিতীয় সংসারে দু’টি ছেলে। এভাবে কেউ সন্তানকে কেন, কোনও মানুষকে রাখতে পারেন !” নীলিমা ঘোষ বলেছেন।
সিপাহীজলার চড়িলামের আড়ালিয়া পঞ্চায়েতের রাজীব কলোনিতে বাড়ি জীতেন্দ্র সরকারের। ঘর-বাড়ি ভাল। বড় ছেলে ঝুটনকে ঘরের পেছনে এক সরু জায়গায় গভীর এক খাদের ওপরে কোনওরকমে তোলা একটি ছাউনি, যেন মুরগি রাখার ঘর। এলাকার মানুষও ক্ষেপেছেন এই পরিবারটির ওপর। ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে , চলাফেরার জন্য স্কুটার দেয়া হবে। সময়ে ব্যবস্থা নিলে ছেলেটি হয়ত ভালই থাকতেন। আঠার বছর হয়ে গেছে, এই বয়সের কাউকে রাখার মত হোম তো এখানে নেই, নইলে সেই ব্যবস্থাই করতাম, বলেছেন চেয়ারপার্সন।
“ আইনি ব্যবস্থা কী নেয়া যায়, কমিসন আলোচনা করে দেখছে,” তিনি জানিয়েছেন।
ছবিঃ ত্রিপুরা স্টেট কমিসন ফর প্রটেকসন অব চাইল্ড রাইটস
COMMENTS