ত্রিপুরার ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের তিনটি সংগঠন আগরতলায় সিটি সেন্টার’র সামনে তাদের চাকরি এবং তাদের মধ্যে মৃতদের পরিবারের রোজগারের দাবিতে অনির্দিষ্ট সময়ের অবস্থান শুরু করেছেন।
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, তাদের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হবে, তবে ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি পেতে হবে অন্যান্য বেকারও একই সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেছেন, আদালতের রায়ে তাদের চাকরি গেছে, তবে সেখানে তাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনও কথা উঠেনি।
তিনিই একদিন তাদের অযোগ্য বলেছিলেন, এবং বলেছিলেন, আদালত তাদের চলে যেতে বলেছে।
তিনিই আবার বার বার বলেছেন আগে, ‘বিকল্প একটা’ কিছু হবেই।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি আইন সংশোধন করে তাদের চাকরি ঠিক রাখার কথা বলেছিল। শুধু তাদের নয়, সব অনিয়মিতদের জন্যই বলেছিল।
সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের আন্দোলনে রতন লাল নাথ এবং বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত হয়ে তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন।
বিজেপি নেতা ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ‘ন্যায়’ দেবার কথা বলেছিলেন।
সম্প্রতি একটি খবরের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ত্রিপুরা সরকার বলেছে, সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের ২০১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার, তাদের জন্য প্রস্তাবিত বেতনের চেয়েও বেশি দিচ্ছে । এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের।
এই শিক্ষকদের একটা অংশের নেতা অরবিন্দ শর্মা এবং প্রদীপ বণিক, যারা সরকারপন্থী বলে পরিচিত। অরবিন্দ শর্মারা সেই নির্বাচনের আগে দিল্লি গিয়েছিলেন বিজেপি নেতাদের সাথে। ফিরে এসে অভিনন্দন জানিয়ে র্যালি করেছিলেন, তখন অরবিন্দ শর্মা বলেছিলেন, তাদের ফাইল আইন মন্ত্রক ঘুরে সংসদে পেশ হবে। তারপর তারা ‘ভ্যালিডেসন অ্যাক্ট’ নামে কিছু বলতেন, এখন অবশ্য বলেন না।
সিটি সেন্টারের সামনে শিক্ষকদের এক সংগঠনের নেতা বিমল সাহা বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী সকালে এক কথা, বিকালে এক কথা বলেন। তাকে তিনি চেয়ার ছেড়ে দিতেও বলেছেন। তিনি বলেছেন, সংঘের আদর্শে থাকা সরকারে এমন হয় না ।
COMMENTS