সারা পৃথিবীজুড়ে করোনা ভাইরাস’র দাপট। ভারতবর্ষেও। এখানে তার অন্য চেহারাও আছে।
বায়োলজিক্যাল ভাইরাস ধর্মে ঢুকে পড়ে।
হিন্দু মহাসভার প্রধান চক্রপাণি রাষ্ট্রপতি’র কাছে চিঠি লিখেছেন, কোভিড ভ্যাকসিনে গরুর রক্ত আছে কিনা, তা পরিস্কার করে বলতে। সরকার এবং ওষুধ কোম্পানিগুলিকে এই কথা জানাতে হবে।
গরুর রক্ত বা ওইরকম কিছু ভ্যাকসিনে থাকলে, তা ‘হিন্দু সনাতন ধর্ম’র ভাবাবেগকে আঘাত করবে, তার দাবি।
হিন্দু ধর্মকে ধ্বংস করতে ভ্যাকসিনের নামে গরুর রক্ত, মাংস, চর্বি ইত্যাদি খাওয়ানোর আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে বলে তার আশঙ্কা।
ভারতে করোনা আক্রমণের প্রথমদিকে দিল্লির একটি মসজিদে থাকা বিদেশি মুসলিমদের ভাইরাসটি ছড়ানোর জন্য দায়ি করে মামলা পর্যন্ত হয়, এখন আদালত থেকে একে এক সবাই ছাড়া পেয়ে যচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যমের নামে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক চেহারা দেয়ার অভিযোগও আছে।
মহারাষ্ট্রে মুসলমান উলেমাদের একটি সভা থেকেও কোভিড ভ্যাকসিনে শুয়োরের জিলাটিন ব্যবহার নিয়ে কথা উঠেছে। যদিও লখনৌ’র দুই মুসলিম মৌল্ভি বলে দিয়েছেন, জরুরী অবস্থায় এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। ইসলামে ওষুধ অনুমতি দেয়। তারা বলেছেন, জীবন আগে, সেক্ষেত্রে অনৈসলামিক জিনিস থাকলেও তা ব্যবহার করা যাবে। সৌদি আরব’র মুফতিও ফতোয়া দিয়ে বলেছেন যে শুয়োরকে এখানে খাবার হিসেবে না ধরে, ওষুধ হিসেবে ধরতে হবে।
নানা রকম ওষুধেই গরু কিংবা শুয়োরের উপজাত জিনিস ব্যবহার করা হয়। জিলাটিন যেমন ক্যপসুলের খোলস তৈরিতে লাগে, তেমনি অন্য বিষয়ে লাগে। গরুর সিরাম লাগে রোটা ভাইরাস’র ভ্যাকসিন তৈরিতে,। এমন উদাহরণ প্রচুর।
ওষুধ সবারই কাজে লাগে, যারা নিরামিষ খান, তাদের জন্যও একই ওষুধ।
গরুর দুধেই গরুর চর্বি থাকে, সেটাই মাখন। মাখন হিন্দু,মুসলিম, এবং অন্যান্যরাও খান, নিরামিষাশীরাও।
COMMENTS