বয়স নয় থেকে পনের। বিয়ে বাড়িতে চুরি করার জন্য ভাড়া করা হয় তাদের। বাবা-মা-ই ‘ভাড়া’ দেন, বিয়ের মরসুমে দশ থেকে বার লাখ একেক জনের ‘ভাড়া’। প্রধানত মধ্যপ্রদেশের রায়গড় জেলা থেকে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা’র বড় বড় বিয়ে বাড়িতে চুরির করার জন্য আনা হয় তাদের। বাচ্চাদের ‘নিলাম’ হয়, নিলামে দর ঠিক হয় কার জন্য কত দিতে হবে।
দিল্লি পুলিশ এমন দুই বাচ্চাকে পাকড়াও করেছে। যে গ্যাঙের জন্য তারা ভাড়া খাটে , সেই ‘ ব্যান্ড বাজা বারাত’র মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাচ্চাদের ভাল পোশাক পরিয়ে বিয়ে বাড়িতে নামিয়ে দেয় গ্যাঙের বয়সে বড় মেম্বাররা। তারা বাইরে মোটর সাইকেল, গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, কখনও বিয়ে বাড়ির কাছাকাছি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অপেক্ষা করে।
ভাড়ায় বাচ্চাদের আনার পর তাদের ট্রেনিং হয়, কী করে গয়নার ব্যাগ, নগদ টাকার ব্যাগ চিনতে হবে, সুযোগ বুঝে তুলে নিয়ে কাটতে হবে। ভাল পোশাক পরে বাচ্চারা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে স্ন্যাকস খায়, সবার সাথে বসে ডিনার সারে, কোনও তাড়াহুড়া নেই, সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, এক সময় গয়না-টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
দিল্লিতে তাদের ট্রেনিং চলে। ধরা পড়লে গ্যাঙের নাম যেন কিছুতেই মুখ দিয়ে না বের হয়, সেই মত ‘শিক্ষা’ দেয়া হয়।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাডিসনাল কমিসনার শিবেশ সিং বলেছেন, এই গ্যাঙ পুরো অর্গানাইজড। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে দল। যে দুই বাচ্চাকে তারা ধরেছেন, তারা এই মরসুমে দিল্লিতে দু’টি এবং লুধিয়ানাতে তিনটি চুরি করেছে ।
যে বয়সে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার কথা, বোর্ড পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করার কথা, এই সময়ে অপরাধের জন্য তারা ‘ভাড়া’ খাটছে, ‘শিক্ষা’ নিচ্ছে।
COMMENTS