ত্রিপুরায় ১০৩২৩ শিক্ষকদের আবেদনঃ ৩৭ জন শিক্ষকের চাকরি নিয়ে আদালতের রায়

ত্রিপুরায় ১০৩২৩ শিক্ষকদের আবেদনঃ ৩৭ জন শিক্ষকের চাকরি নিয়ে আদালতের রায়

‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের কয়েকজন ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, যে মামলার রায়ে তাদের চাকরি গেছে, সেই একই মামলায় অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন শিক্ষক চাকরি থেকে ছাঁটাই হননি, তাই যদি তারা চাকরিতে থাকতে পারেন তবে ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদেরও চাকরিতে রাখা হোক। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় তারা আবেদনে বলেছিলেন যে যদি তাদের (১০৩২৩) চাকরি গিয়ে থাকে, তবে ওই শিক্ষকদের কেন চাকরি থাকবে।

ত্রিপুরা হাইকোর্ট এই আবেদন মঞ্জুর করেনি, তবে এটাও বলেছে, যদি তারা সেই মামলার রায়ের আওতাধীন হন, তবে সরকার কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তাদের চাকরিতে বহাল রাখার বিষয়কে দাঁড় করাতে পারে না।

হাইকোর্ট তন্ময় নাথ মামলার উল্লেখ করে বলেছে, সেই মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের চাকরি গেছে। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে সময় দেয়া হয়, নিয়োগে এই শিক্ষকরা বয়সের ছাড় পান, যারা নির্বাচিত হননি, তাদের চাকরি ৩১.০৩.২০২০ তারিখে চলে যায়।

প্রথম আবেদনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বলেছে, আবেদনকারী এবং অন্যান্য শিক্ষকদের মতই, তন্ময় নাথ মামলার চার থেকে একচল্লিশ নম্বর রেসপন্ডেন্টরা একই রকম,তাই তাদের (১০৩২৩) রিলিফ চাইছেন এটাই মূল কথা আবেদনের। এটা নেতিবাচক সমতা চাওয়ার মত। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় মোতাবেক এটি আর্টিকেল ১৪ অনুযায়ী হয় না। তাদের সুবিধাজনক ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে, তাদেরও (১০৩২৩) একই সুবিধা দেয়া হোক, আবেদনকারীরা এটা বলতে পারেন না।
দ্বিতীয় আবেদনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে এটি অনেকটাই জনস্বার্থ মামলার মত।যেহেতু এটি জনস্বার্থ মামলা নয়, তাই এটি আর খতিয়ে দেখা হল না।

তবে বিচারপতি বলেছেন, আবেদন খারিজ করে দেয়ার মানে এই নয়, সরকার খেয়ালখুশি মত, যাদের চাকরি গেছে তাদের সম পর্যায়ে থাকা কাউকে চাকরিতে রাখবে, কাউকে ছাঁটাই করে দেবে।
তন্ময় নাথ মামলায় চার থেকে একচল্লিশ নম্বর রেসপন্ডেন্টকে বেআইনিভাবে চাকরিতে রেখে দেয়া হয়েছে, আদালত এই কথা বলেনি, তবে বলেছে, যদি তন্ময় নাথ মামলায় এই আদালতের রায়ের আওতায় তারা পড়েন, তবে সরকার নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে তাদের চাকরিতে রেখে দেয়াকে যুক্তিযুক্ত করতে পারে না।
বিচারপতি নিশ্চিত যে সরকার বিষয়টি দেখবে, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

বিষয়টি ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশি’র বেঞ্চে উঠেছিল, গতকাল এই রায় এসেছে।

আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শঙ্কর কুমার দেব, এবং এস দাস। সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেবালয় ভট্টাচার্য।

COMMENTS