১০৩২৩ জবাব চাইলেন সরকারের কাছে

 

১০৩২৩ শিক্ষক’র এক অংশ তাদের নিয়ে কী ভাবছে সরকার, তার নিশ্চিত জবাব চেয়েছে। না পেলে , চাপ তৈরি করে স্থায়ী সমাধানের পথে সরকারকে নিয়ে আসতে  আন্দোলনে যাবেন তারা।

এই অংশটির নেতা বিমল সাহা, বলেছেন, সরকার আইনি পথে তাদের চাকরি ঠিক রাখার কথা বলছে, মাত্র একমাস হাতে আছে, আজ পর্যন্ত তারা জানেন না, কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ত্রিপুরায় হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে আদালতের রায়ে। সেই শিক্ষকরা এখনও কাজে আছেন চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী হিসেবে। সেই মেয়াদও ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাবার কথা। হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট, আবার হাইকোর্ট ঘুরে, একই বিষয় এখন আবার সুপ্রিমকোর্টে গেছে। ১৬ মার্চ আবার শুনানি। এবার এই শিক্ষকরা সুপ্রিমকোর্টে গেছেন এই আবেদন নিয়ে যে মাত্র কয়েকশজনের চাকরি চ্যালেঞ্জ হয়েছিল, তাদের চাকরি আদালতের রায়ের আওতায় , অন্যদের কিছু হবার কথা নয় বলে যে রায়ে চাকরি গেছে, সেই রায় থেকেই ১২৭ নম্বরের পয়েন্টটি আদালতে পেশ করেছেন।

 

তখনকার বামফ্রন্টের আমলে এই চাকরি হয়েছিল। নিয়োগের  সেই সংখ্যা ১০৩২৩ ছিল বলে , সেই নামেই এরা পরিচিত হয়ে গেছেন, যদিও ঠিক ঠিক সেসব শিক্ষকের সংখ্যা এখন আর তা নয়।

২০১৮ সালে ত্রিপুরায়  বিধানসভা ভোটের আগে এই শিক্ষকদের নিয়ে তখনকার বিরোধী রাজনীতি মাঠ গরম করেছিল। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,তাদের, সর্বশিক্ষার শিক্ষক, প্রমুখদের ন্যায়বিচার দেয়া হবে। এই শিক্ষকদের একটা অংশকে নিয়ে বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে তখনকার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন। সংসদে আইন পাশ করে তাদের চাকরি বাঁচিয়ে দেয়ার কথাও হয়েছিল। যদিও তারপর সংসদে একাধিক অধিবেশন গেছে, এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি।

এই শিক্ষকদের একটা অংশ আবার সরাসরি সরকারের হয়ে নানা জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন, এবং সরকার তাদের চাকরি বাঁচিয়ে দেবেন বলছেন, যদিও তারাও ঠিক কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেই নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না।

বিমল সাহাদের অংশটিও বিজেপি-কেই সমর্থন দিয়েছিলেন। সেটা তারা বলেছেনও।

সরকার গঠনের পর অভিনন্দন র‍্যালি করেছিলেন। এমনকী সেই র‍্যালি করার সময় নিজের পরিচয়ের প্রমাণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রভবন’র সামনে শিক্ষকরা হুড়োহুড়ি করে, একে-অন্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বিশ্রী অবস্থায় পড়েছিলেন। বিমলবাবুকে একসময় দেখা যায়, ব্যানারের দুই মাথাই তিনি একা ধরে দাঁড়িয়ে।

শিক্ষকদের এই চাকরি নিয়ে আদালত, ইত্যাদির নামে বার বার চাঁদা উঠেছে। তবে কেউই, বাম আমলে, বা এই আমলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা  করেননি । সরকারি বিজ্ঞাপণ দেখে , ইন্টারভিউ দিয়ে, চাকরি পেয়ে সেই চাকরি আদালতের রায়ে  অসুবিধায়, এই মানুষদের ,  তাদের পরিবারের দায় কার, সেটা কোথাও নির্দিষ্ট হয়নি।

কিছুদিন আগে  মহাকরণ অভিযানে গিয়েছিলেন এই শিক্ষকদের একটা অংশ, তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা চেয়েও, তারা দেখা পাননি। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শেষ দিন পর্যন্ত সরকারের ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন কিছুদিন আগে, একটি অনুষ্ঠানে।

 

১০৩২৩ শিক্ষকদের নিয়ে নানা কটূক্তিও হয় এখানে-সেখানে। দিন পাঁচেক আগে ডেপুটেসনই দিলেন আরেকটা অংশ , শিক্ষা অধিকর্তার কাছে। স্কুলের হেডস্যারই বাজে বলেছেন, অভিযোগ।

COMMENTS