দেব-না-তিতুন! মানে রাজার জন্য বেগার খাটব না।

দেব না তিতুন !

ত্রিপুরায় রাজার সময়ে বেগার খাটতে হত। রাজার কাজে, রাজ কর্মচারীদের জন্য খেটে দিতে হবে, কোনও মজুরি দেয়া হবে না। যেমন খাজনা আদায়ে গেলে গ্রামের লোকজন রাজ প্রতিনিধির জন্য খাটতেন মজুরি ছাড়া। সেই প্রথা ‘তৈতুন’ বা ‘তিতুন’ ।

ত্রিপুরার ভারতে যোগ দেয়ার আগেও ছিল এই তিতুন।

সেবার ফসল বিশেষ হয়নি। ঘরে ঘরে খাবার নেই। সেসব খেয়াল না থাকলেও, খাজনা আদায়ে বের হয়েছেন রাজ-প্রতিনিধি। খোয়াই শহরের কাছেই পদ্মবিল গ্রাম। বেঁকে বসলেন মানুষ, তিতুন দিতে অস্বীকার করলেন। বিদ্রোহ টের পেয়ে মিলিটারি নামল। ত্রিপুরায় প্রজা বিদ্রোহ দমনে রাজাদের নৃশংসতার উদাহরণ অনেক। গ্রাম ছেড়ে লুকিয়ে পরেছেন পুরুষেরা। মহিলারা গড়ে তুললেন প্রতিরোধ। মিলিটারির গুলিতে মারা গেলেন কুমারী-মধুতি-রূপশ্রী।(কুমারী-মধুতি-রূপশ্রী দেববর্মা) ।  তিন নারী শহিদ হলেন, ১৯৪৯ সালের ২৮ মার্চ। সে বছরের অক্টোবরেই ত্রিপুরা ভারতের অংশ হয়।

তাদের বীরগাঁথা নিয়ে আশির দশকে খোয়াইয়ের কালচারাল ক্যাম্পেন ‘দেব না তিতুন’ নাটক করল। কমল রায় চৌধুরি’র লেখা, সঞ্জয় কর’র পরিচালনা। সাড়া জাগানো সেই নাটক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষের উঠে দাঁড়ানোর দলিল।

সঞ্জয় কর বলছেন সেই নাটক নিয়ে, ‘দেব না তিতুন’ নিয়ে। তার জীবনের শ্রেষ্ঠ নাটক।

 

এই সাক্ষাতকার দ্য প্লুরাল কলাম’র অভিজিৎ রাহা’র তোলা। অভিজিৎ এক সকালে স্নান করে , ভাত খেয়ে আচমকাই মারা গেল গতবছর।

তিন বীর নারীর শহিদান দিবসকে  মনে রেখে অভিজিৎ’র তোলা ছবিতে এই ভিডিও-স্টোরি।

 

COMMENTS