একদিনে ত্রিপুরায় কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হলেন ২১ জন। চলতি বছরে একদিনের পজটিভ সংখ্যায় এটাই রেকর্ড।
মারা গেছেন এক জন।
এই মুহুর্তে চিকিৎসার আওতায় আছেন ৮৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের সন্ধ্যার মেডিকেল বুলেটিন এই তথ্য দিচ্ছে।এই হিসাব গতকাল বিকাল থেকে আজ বিকাল পর্যন্ত। এই সময়ে মোট পরীক্ষা হয়েছে ১১৩৪ নমুনার। আরটিপিসিআর থেকে ৪ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট থেকে ১৭ জন কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
সকালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেসন-এ আছেন।
জিবিপি হসপিটাল থেকে চারজন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও চারজন মেল নার্সকে ১৫ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।
তাদের প্রত্যেককেই হসপিটাল থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেয়া হয়েছে। একজন শিলাচরি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার থেকে ডেপুটেসনে ছিলেন জিবিপি হসপিটালে।
ডাঃ সুজিত সূত্রধর, ডাঃরাজা জমাতিয়া,ডাঃপ্রিতম দেবনাথ, এবং ডাঃ গৌতম দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পোস্টিং পেয়েছেন।
কিছুদিন আগেও কোভিড হাসপাতাল খালি হয়ে গিয়েছিল। এখন শুধু এপ্রিলেই শনাক্ত হলেন ৭২ জন।
বাইরে থেকে আসা নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কিছুদিন আগে ভর্তি ছিলেন। গতবছরও একসময় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি বুঝতে বিশেষজ্ঞ দলও এসেছিল।
ত্রিপুরায় মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৩৩,৫৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩,০৭২ জন। মারা গেছেন ৩৯০ জন। মৃত্যুর হার ১.১৬ শতাংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হার। ত্রিপুরায়
আসামের পর ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
ত্রিপুরায় কোভিড-নিয়ম সাধারণে যেমন মানা হচ্ছে না, মানছেন না ভিআইপিরাও।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিন তিনেক আগে ‘মাস্ক’ না পরার পরামর্শ দিয়েছেন, মাস্ক পরলে নাকি বিউটিপার্লারের চলবে না।তবে ত্রিপুরা সরকার ভারত সরকার’র গাইডলাইন মেনে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাস্ক পরা, ইত্যাদি কোভিড বিধি মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সারা ভারতে ১,১৫,৭৩৬ নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন, বুলেটিনটি বলছে। লাখ ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড করছে এই সেকেন্ড কোভিড ওয়েব।
COMMENTS