লোক গানের শিল্পীকে হেনস্তায় কয়েকজন প্রথম শুনানিতেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন, অসীম মজুমদার, অরিজিৎ বিশ্বাস, উৎপল দে এবং সঞ্জিত বর্মন,১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
সোনার হার, এটিএম কার্ড লুট, ডাকাতি, ইত্যাদি অভিযোগ সেই মামলায় যোগ করার পর গতকাল শুনানি হয়। আদালত আগের জামিন বাতিল করেনি, কিন্তু লুট, ইত্যাদি অভিযোগে আইপিসি’র ৩৮২বি/৩৯২ ধারায় পুলিশকে অসীম মজুমদার, উৎপল দে এবং অরিজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করার অনুমোতি দিয়েছে। সঞ্জিত বর্মণকে লুট,ইত্যাদি অভিযোগে জড়িত বলে আদালত মনে করে না।
পুলিশ অবশ্য তাদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি, তারা আদালত চত্বরেই ছিলেন। লুট, ছিনতাইয়ের অভিযোগে জামিন না পাওয়ার পর, আদালত চত্বর থেকে কেটে পড়েন। বেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে আসেননি বলে খবর।
দুর্গা পূজার একরাতে লোকগানের এক শিল্পীকে রাস্তায় ঘিরে ধরে হেনস্তা করে বেশ কিছু যুবক। সঞ্জিত(কালু) প্রধান অভিযুক্ত,পুলিশের বক্তব্য। ঘটনা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমতলী থানার এক এলাকায়।
সেই হেনস্তার ভিডিও তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়।
শিল্পী কাছে মদ খাওয়ার জন্য টাকার জন্য চাপ দেয়া, পোষাক ধরে টানাটানি, হাত পেছন মোড়া করে ধরে রাখা, ইত্যাদি ভিডিওতে দেখা গেছে।
পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে নিলে, সেদিনই তারা জামিন পান।
তাদের নামে যে ধারায় মামলা প্রথমে নেয়া হয়েছে, সেখানে জামিন অযোগ্য ধারাও ছিল।
পুলিশ দুর্বল বক্তব্য রেখেছে বলে তারা জামিন পেয়েছেন বলে কারও কারও দাবি।
COMMENTS