ত্রিপুরায় আসছে এক হাজার মাস্ক করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে

ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তর জরুরী ভিত্তিতে এক হাজার মাস্ক কিনছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়। স্টেট নোডাল অফিসার ডাক্তার রাধা দেববর্মা প্লুরাল কলাম’কে বলেছেন,আগামী কালকের মধ্যেই এই মাস্ক রাজ্যে চলে আসার কথা। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক এবং নার্সদের কথা মাথায় রেখেই এই মাস্ক আনা হচ্ছে। চিকিৎসক সহ অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীরাই সরাসরি রোগীদের সংস্পর্শে আসেন । এছাড়া আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর এবং আখাউড়া সীমান্ত চেক পোস্টে কর্মরত সরকারী কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্যও কিছু সংখ্যক মাস্ক দেওয়া হবে।

ডাক্তার রাধা দেববর্মা জানান আজই দিল্লী থেকে রাজ্যে এসেছে দুটি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার । কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যকে এই দুইটি থার্মোমিটার দেওয়া হয়েছে । রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ডাক্তার সত্যজিৎ সেন এই দুটি থার্মোমিটার নিয়ে এসেছেন আগরতলায়। একটি দেয়া হয়েছে আখাউড়া সীমান্তে এবং অন্যটি আগরতলা বিমান বন্দরে। এই থার্মোমিটার দিয়ে দূর থেকেই মাপা যায় শরীরের তাপমাত্রা। কেউ জ্বর আক্রান্ত কিনা তা তার শরীর না ছুঁয়েই বলে দেয়া সম্ভব। আখাউড়া সীমান্তে এবং বিমান বন্দরে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে যে স্ক্রিনিং ডেস্ক বসানো হয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা আজ থেকেই থেকেই এই থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন।

ডাক্তার দেববর্মা দাবী করেছেন যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যে ত্রিপুরার বাইরে থেকে যারা আসছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানতে পেরেছে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আগরতলায় আসা দুজন ব্যক্তি আগরতলায় আসার আগে নেপালে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের খোঁজ করেন। তারা যে হোটেলে ছিলেন সেখানে গিয়ে জানা যায় যে তারা হোটেল ছেড়ে দিয়েছেন। হোটেলের কর্মীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে জ্বর বা সর্দি হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাথে সাথেই যোগাযোগ করা হয়।

রাজ্যের এক মেরিন ইঞ্জিনীয়ার যুবক সম্প্রতি চিনের কোন এক বন্দরে গিয়েছিলেন । যদিও তিনি জাহাজ থেকে নামেন নি কিন্তু জাহাজটি চীনের বন্দরে নোঙর করেছিল। এই যুবক কয়েকদিন আগে রাজ্যে ফিরে এসেছেন । রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে খবর পেয়ে ঐ যুবকের বাড়িতে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানো হয় এবং তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরিবারটিকে মাস্ক এবং কিছু প্রতিষেধক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এরকম ভাবেই আরও একজন ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল যিনি সম্প্রতি বিদেশে একটি সেমিনারে গিয়েছিলনে। সেখানে চীনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ঐ ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ডাক্তার দেববর্মা জানান , আগরতলা সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য প্রি প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোরোনার জেরে ইতিমধ্যেই চিনে ৩০০-র বেশি মানুষ মারা গেছেন ৷ ১৪ হাজার ৫৬২ জন আক্রান্ত ৷ বিশ্বের ২৫টি দেশে এই মুহূর্তে কোরোনা ছড়িয়ে পড়েছে ৷

ছবিঃ অভিষেক সাহা

এ নিয়ে আরও খবরঃ

China coronavirus: WHO declares global health emergency

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ত্রিপুরার যুবকের মৃত্যু

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS