সাতবারের সাংসদ বাজুবন রিয়াং মারা গেছেন

সাতবারের সাংসদ বাজুবন রিয়াং মারা গেছেন

মারা গেছেন বাজুবন রিয়াং। ত্রিপুরার সাতবারের সিপিআই(এম) সাংসদ। মারা গেছেন শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ। আইএলএস হসপিটালে । বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
রাতে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। এগারটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হসপিটালে। ৪০ মিনিট পরেই ডাক্তার জানান তিনি মারা গেছেন।
সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। একটা সময় ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও। অসুস্থতার কারনে গত বছর দলের রাজ্যসম্পাদকমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি নেন। বর্তমানে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য।
১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ জন্ম। দক্ষিণ ত্রিপুরার বকাফা গ্রামে। আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক বাজুবন।
প্রায় ৪৭ বছর দীর্ঘ তার সংসদীয় রাজনীতির জীবন। জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন কংগ্রেস রাজনীতিতে। কংগ্রেস থেকে ১৯৬৭ সালে বিধায়ক হন। পরে যোগ দেন সিপিআই(এম)-এ। পরবর্তী সময়ে এই দল থেকেই বিধায়ক হন বেশ কয়েকবার। ১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর তিনি কৃষি মন্ত্রী হন।
প্রায় এক বছর ধরে ত্রিপুরায় মন্ত্রীত্ব করেন। ১৯৮০ সালে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসন থেকে লড়েন। হন সাংসদ। ১৯৮৯ পর্যন্ত ছিলেন লোকসভার সদস্য। আবার ১৯৯৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা সাংসদ ছিলেন লোকসভার। সিপিআই(এম)-এর। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসন এবং বাজুবন রিয়াং প্রায় সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগও ছিল। তেমন একটা ‘ভোক্যাল’ ছিলেন না সংসদে।
কিন্তু সাতবারের সাংসদ বরাবরই ছিলেন প্রচার বিমুখ। ছিলেন সংসদের বিভিন্ন কমিটির সদস্য। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ এই সময়ে লোকসভায় সিপিআই(এম)-এর উপনেতা ছিলেন। আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। ছিলেন দীর্ঘদিন ত্রিপুরা রাজ্য উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি। সারাভারত কৃষকসভার কেন্দ্রীয় নেতাও ছিলেন বাজুবন। প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় ‘বনাধিকার আইন’কে বাস্তব রূপ দিতে যে কয়েকজন সাংসদ কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
তার মৃত্যুর খবর শুনে রাতেই আইএলএস হসপিটালে ছুটে যান বাদল চৌধুরী, জিতেন্দ্র চৌধুরী, সুধন দাস, প্রমুখ।
জিতেন্দ্র চৌধুরী বললেন, বাজুবন রিয়াং-এর মৃত্যুতে বলছেন একটা যুগের অবসান হল।

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS